পাতা:গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিহারীলাল চক্রবর্তী.pdf/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰেমপ্রবাহিণী । চন্দ্ৰিকা লাবণ্যময়ী হাসিয়ে হাসিয়ে, দিগঙ্গানা সখীদের নিকটে আসিয়ে, হ’রে লয়ে পুঞ্জ পুঞ্জ তারকা ভূষণ, সীমন্তে পর্যায়ে দেন নক্ষত্র রতন ! দেখাইতে ভূষণের হরণ-কারণ, সাদরে বলেন সবে মধুর বচন ;- “প্ৰকৃতি পরান র্যারে নিজ অলঙ্কার, কতকৃগুলো অলঙ্কার সাজে কি গো তঁর ? স্বভাবসুন্দর রূপ যথার্থ সুরূপ, অলঙ্কত রূপ তাহে কলঙ্ক স্বরূপ ॥৭ সুন্দরীর অলঙ্কারে প্রয়োজন নাই, কুরূপারি ঝুড়ি ঝুড়ি অলঙ্কার চাই । অমা নাকি ঠিক যেন তাড়ক রাক্ষসী, সৰ্ব্বাঙ্গেতে পরে তাই তারা রাশি রাশি । ইন্দ্ৰধনু পরে না তো কোন অলঙ্কার, জগত মোহিত তবু রূপ দেখে তার। উষার ললাটে শুদু অরুণের ছটা, তবু বিশ্ব অলঙ্কত করে রূপঘট । দুই এক খানি পর বাড়ক প্রভাব, সমভাব হউক ভূষণভূন্যভাব।” ষ্ঠার কথা শুনে তঁরা হেসে ঢল ঢল, উড়ে পড়ে শুভ্ৰ ঘন হৃদয়-অঞ্চল ।