পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৩৪
গ্রহ-নক্ষত্র

নিভিয়া একবার জ্বলিয়া মিট্-মিটে আলো দেয়, কোনো গ্রহই সে রকমে আলো দেয় না। গ্রহদের মূর্ত্তি স্থির, তাহাদের আলোও অচঞ্চল। নক্ষত্র হইতে গ্রহদিগকে বাছিয়া লইবার এই একটা উপায়। সুতরাং তোমরা যদি খালি চোখে বৃহস্পতিকে দেখ, তাহা হইলে কখনই তাহাকে নক্ষত্রের মত মিট্‌মিট্ করিতে দেখিবে না। কিন্তু খালি চোখে বৃহস্পতিকে দেখা না দেখারই সমান। তাহার প্রকাণ্ড দেহকে এবং সারি সারি চারিটি চাঁদকে খালি চোখে কখনই দেখা যায় না। যদি ছোটখাটো দূরবীণও হাতের গোড়ায় পাও, তাহা হইলে আগে বৃহস্পতিকে দেখিয়ো। তাহার মূর্ত্তি দেখিয়া অবাক্ হইয়া যাইবে।

 বৃহস্পতিকে দূরবীণে যে রকম দেখায়, এখানে তাহার একটি ছবি দিলাম। দেখ,—তারার মত ছোট বৃহস্পতিকে কত বড় দেখাইতেছে। ইহার বাহিরে যে চারিটি ছোট বিন্দু দেখিতেছ, সেগুলি বৃহস্পতির চাঁদ এবং তাহার গায়ে যে-সব কালো দাগ দেখিতেছ, তাহা বৃহস্পতির মেঘ।

 তোমরা মেঘের কথা শুনিয়া বোধ হয় ভাবিতেছ, বৃহস্পতিতে নদী সমুদ্র ও মানুষ আছে। কিন্তু উহাতে এ-সব কিছুই নাই। বৃহস্পতি এখনো ভয়ানক গরম রহিয়াছে;—এত গরম যে, তাহার দেহের খুব ভিতরকার অংশ ছাড়া বাকি সকলই আজও গরম বাষ্পের আকারে আছে এবং হয় ত ঐ বাষ্প এক-একটু জ্বলিতেছে। এই রকম জায়গায় কেমন করিয়া জীবজন্তু থাকিবে? যাহাকে আমরা মেঘ বলিলাম, তাহা ঐ গরম বাষ্প ছাড়া আর কিছুই নয়।

 ১৩২ পৃষ্ঠায় বৃহস্পতির একখানা বড় ছবি দিয়াছি। বড় দূরবীণ দিয়া উহাকে যেমন দেখায়, এটা তাহারি ছবি। ইহাতে মেঘগুলিকে তোমরা আরো ভাল করিয়া দেখিতে পাইবে। বৃহস্পতি দশ ঘণ্টায় তাহার মেরুদণ্ডের চারিদিকে ঘুরে,—তাই উপরকার মেঘগুলিকে উহার