কথা জানিতে পারিবে। জ্যোতিষীরা বলেন, শনির চাকাগুলি কখনই মাটি-পাথরের মত জমাট জিনিস দিয়া প্রস্তুত নয়। লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি ছোট-বড় জড়পিণ্ড দলে দলে উপগ্রহের মত শনির চারিদিকে পাক্ খাইতেছে; আমরা দূর হইতে সেই জড়পিণ্ডগুলিকেই নিরেট চাকার মত দেখি।
বোধ হয় কথাটা ভাল করিয়া বুঝিলে না। মনে কর, তোমাদের গ্রামে যে মন্দিরটি আছে, তাহাকে ঘিরিয়া যেন দলে দলে কাক চিল প্রভৃতি পাখী উড়িয়া বেড়াইতেছে। এক দলের পর আর এক দল সার্কাসের ঘোড়ার মত এক গোলাকার পথে ঘুরিতেছে, তাহাদের পরস্পরের মধ্যে যেন একটুও ফাঁক নাই। দূর হইতে এই পাখীর দলকে তোমরা কি রকম দেখিবে ভাবিয়া দেখ। কাক-চিলদিগকে তোমরা কখনই পৃথক্ পৃথক্ দেখিতে পাইবে না,—মনে হইবে যেন একটা কালো নিরেট্ চাকা মন্দিরকে ঘিরিয়া শূন্যে দাঁড়াইয়া আছে।
আমরা শনির চাকাকে ঠিক্ ঐরকমেই নিরেট বলিয়া মনে করি। কোটিকোটি জড়পিণ্ড কাক-চিলদের মত ঘুরিতেছে, কাজেই আমরা দূর হইতে সেগুলিকে নিরেট চাকার মত দেখিতেছি।
শনির চাকা মোটামুটি তিনটা, সুতরাং বলা যাইতে পারে ঐ জড়পিণ্ডগুলি তিনটা পৃথক্ পথে গাদাগাদি করিয়া চলিয়া তিনটি চাকার সৃষ্টি করিয়াছে। জ্যোতিষীরা ঠিক এই কথাই বলেন।
তোমরা হয় ত জানিতে চাহিতেছ, যে-সকল পিণ্ড শনির চারিদিকে ঘুরিতেছে, তাহারা কত বড়। জ্যোতিষীদের কাছে এই প্রশ্নের ঠিক্ জবাব পাওয়া যায় না; কারণ এখনকার খুব বড় দূরবীণেও চাকার পিণ্ডগুলিকে পৃথক পৃথক দেখা যায় নাই। তবে সেগুলি যে, খুব ছোট জিনিস তাহাতে আর সন্দেহ নাই। তোমাদের ফুট্বলগুলির মত বড়