পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩৪
গ্রহ-নক্ষত্র

পরে ভাদ্র আশ্বিন কার্ত্তিক অগ্রহায়ণ এই চারি মাসের সন্ধ্যাকালে যদি তোমরা সপ্তর্ষির খোঁজ কর, তাহা হইলে তাহাকে দেখিতেই পাইবে না। পৌষ মাসে খোঁজ করিলে সন্ধ্যার সময়ে আকাশের উত্তর-পূর্ব্ব কোণ হইতে ইহাকে এক-একটু করিয়া উপরে উঠিতে দেখিবে।

 যে ছবি দেওয়া গেল তাহার সহিত মিলাইয়া তোমরা হয় ত সপ্তর্ষিকে চিনিতে পারিবে। যদি চিনিতে না পার, তবে যাঁহারা একটু-আধটু জ্যোতিষের কথা জানেন তাঁদের কাহাকেও জিজ্ঞাসা করিয়ো, তিনি সপ্তর্ষিমণ্ডলকে চিনাইয়া দিবেন।

 দুই হাজার আড়াই হাজার বৎসর আগে আমাদের পূর্ব্বপুরুষেরা সপ্তর্ষিকে বেশ ভাল করিয়া জানিতেন এবং ইহার সাতটি নক্ষত্রের মরীচি, অত্রি, অঙ্গিরা, পুলস্ত্য, পুলহ, ক্রতু, এবং বশিষ্ঠ এই সাতটি নাম দিয়াছিলেন। এগুলি আমাদের দেশের বড় বড় ঋষিদের নাম। এই জন্যই এই সাতটি তারা আকাশের যে জায়গাতে আছে, তাহাকে সপ্তর্ষিমণ্ডল বলা হয়।

 ইংরাজ-জ্যোতিষীরাও সপ্তর্ষির সাতটি তারার এক-একটি নাম রাখিয়াছেন; কিন্তু সেগুলি দেবতা বা ঋষিদের নাম নয়। তাঁহারা ইহাকে সপ্তর্ষিমণ্ডল না বলিয়া ভল্লুক-মণ্ডল বলিয়াছেন। সাতটি নক্ষত্রে মিলিয়া একটি ভল্লুকের আকৃতি করিয়াছে বলিয়া তাঁহাদের মনে হইয়াছিল। শেষের তিনটি তারাকে তাঁহারা ভল্লুকের লেজ বলেন।

 সপ্তর্ষির একটি তারা বড় মজার। ইহাকে আমাদের জ্যোতিষীরা বশিষ্ঠ বলেন। পরিষ্কার রাত্রিতে তোমরা যদি বশিষ্ঠকে ভাল করিয়া দেখ, তাহা হইলে উহার ঠিক্ গায়ে একটি খুব ছোট নক্ষত্র দেখিতে পাইবে। এটির নাম “অরুন্ধতী”। অরুন্ধতী বশিষ্ঠের স্ত্রী। সকলের ভাগ্যে কিন্তু ঐ ছোট নক্ষত্রটিকে দেখা ঘটে না। যাহাদের দৃষ্টিশক্তি