পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীক ও হিন্দু । טאמה: শুামশোভায় নয়নরঞ্জন করিয়া থাকে ; ওদিকে আবার সর্বত্রই উপলখণ্ডবৰ্দ্ধিত গিরিশ্রেণী, সেই সকলকে পরস্পর হইতে বিভিন্ন করিয়া রাথিতেছে। এই সকল পৰ্ব্বতশ্রেণী এবং বহুমূৰ্ত্তিবিশিষ্ট ক্ষেত্রসমূহ অতিক্রম করিয়া গতায়াত করিতে হয় বলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ খণ্ডের মধ্যে বা যে কোন দূর গতায়াতের পক্ষে, স্থলপথ দারুণ কষ্টকর ; সুতরাং জলপথ অতিশয় সুগমতা হেতু প্রলোভন প্রদান করিয়া থাকে। এখন স্থলভাগ ছাড়িয়া জলভাগের প্রতি নেত্রপাত কর। পূৰ্ব্ব ও দক্ষিণস্থ সমুদ্র ধীর, মৃদু, মন্থরগতি। প্রায় সৰ্ব্বত্রই গ্রীসের অভ্যন্তরে ইহা এতদূর প্রবেশ করিয়াছে যে, গ্রীস বহু প্রদেশে বিভক্ত হইলেও, কেবল এক আর্কেডিয়া ভিন্ন, আর সকল প্রদেশেরই সমুদ্রতটে একটি না একটি বন্দর স্থাপিত থাকায়, সমুদ্রে গমনাগমন পক্ষে প্রায় সকলেরই সুবিধার প্রচুরতা দৃষ্ট হয়। এই সমুদ্র সর্বত্র দ্বীপশ্রেণীতে এরূপ আকৃষ্ট যে, তাহাদের জন্য সমুদ্রের অস্থিচৰ্ম্ম অবশেষ। ঐ সকল দ্বীপের অধিকাংশ পর্বতময়, কোনটি উর্বর কোনটি বা মধ্যপ্রকৃতি, কিন্তু সকলেই রম্যদর্শন ও বাসযোগ্য। তাহাদের কেহই আয়তনে বৃহৎ নহে, সকলেই অকৃতিতে ক্ষুদ্র, এবং পরস্পর পরস্পরের এত সন্নিকটে অবস্থান করে যে, একটিতে উত্তীর্ণ হইয়া, তাহ দেখিতে দেখিতে অনতিবিলম্বে আর একটিতে প্রপস্থিত হইতে পারা যায়। এইরূপে ইউরোপখণ্ডে গ্রীস হইতে নির্গত হইয়া, স্বচ্ছদে আসিয়াখণ্ডে উপনীত হইতে পারা যায়। পুনশ্চ, এই গতায়াতের সুবিধাকল্পে অতি অনকুল ও মুখস্পর্শ বায়ু, হেলাসপণ্ট হইতে ক্রীট দ্বীপ পর্য্যস্ত প্রবাহিত হইয়া থাকে। গ্রীসের পূর্ব উপকূলের অনুকূল মূৰ্ত্তি বশতঃ, তথায় জাহাজ ও নানাবিধ পোত রক্ষার্থে সুন্দর মুন্দর বন্দর সকল সংস্থাপিত । পশ্চিম সমুদ্রও দ্বীপাবলীসংযুক্ত, কিন্তু পূৰ্ব্বসমুদ্রের ন্যায় ঘনসন্নিবিষ্টনহে।