পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AOG 3 औक ७ श्नूि। বা অবনত, নাস্তিকতাও তখন তাঁহাই । আস্তিকতা যখন দেবতত্ত্ব লইয়া, নাস্তিকতাও তখন দেবতৰ লইয়া । আস্তিকতা যখন জ্ঞানকাণ্ডের উপর, নাস্তিকতাও তখন জ্ঞানকাও আশ্রয়ী। আস্তিকতা যখন বৈজ্ঞানিক, নাস্তিকতাও তখন বৈজ্ঞানিক আকার ধারণ করিয়া থাকে। বর্তমান ইউরোপীয় আস্তিকতা ও নাস্তিকতা উভয়ই বৈজ্ঞানিক, বর্তমান বঙ্গীয় আস্তিকতা ও নাস্তিকতা উভয়ই ফেসিয়ান-প্ৰাণ । আমরা যে সময়ের আলোচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছি, সে সময়ের আস্তিকতা ও নাস্তিকতা উভয়ই আংশিক দেবতত্ত্ব এবং আংশিক জ্ঞান-কাও-আশ্রয়ী। গ্রীকের নাস্তিক-শিরোমণি এপিকু্যরস; হিন্দুর নাস্তিক-শিরোমণি চাৰ্ব্বাকদর্শন-প্রণেতা ধীষণ নামক ব্রাহ্মণসন্তান।— “যাবজ্জীবেৎ সুখং জীবেৎ ঋণং কৃত্বা ঘূতং পিবেৎ।” গ্রীকভূমিতে তত্ত্ববদ্ধ নাস্তিকতা আরিষ্টিপুসের সময় হইতে দৃষ্ট হয় ! আরিষ্টিপুসের পূৰ্ব্বগত তত্ত্ববিদবর্গের মধ্যে যদিও বহু পরিমাণে নাস্তিকতার আভাস দেখিতে পাওয়া যায় বটে,কিন্তু তাহা আরিষ্টিপুসের স্তায় সৰ্ব্বাঙ্গসৌষ্ঠব কাওস্বরূপে শ্রেণীনিবদ্ধ হয় নাই। আরিষ্টিপুর তত্ত্ববিদ্যার ব্যবসায়ী ছিল। এই ব্যক্তি সক্রেটিসের নিকট তত্ত্বশিক্ষা করে, কিন্তু শেষে আত্মবুদ্ধির কৌশলে নাস্তিকতা অবলম্বন করিয়াছিল। আরিষ্টিপুস প্লেটোর সম-সাময়িক লোক । ইহার বিশ্বাস, যে কোন ব্যক্তির সঙ্গে যে যেমন সেইরূপ হইয়া মিলিত হইতে পারাই, তত্ত্বজ্ঞানলাভের একটি বিশেষ ফল। ইহার মতে পরম পুরুষাৰ্থ,—যে কোন উপায়ে মুখ বা প্রমোদ লাভ এবং তাহা যদি কোন অপকৃষ্ট বা ঘৃণিত উপায় দ্বারা সাধিত করার প্রয়োজন হয়, তাহাতেও ক্ষতি নাই।’ আরিষ্টপু বলিত, “শারীরিক মুখ মানসিক মুখ অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ এবং শারীরিক দুঃখ মানসিক দুঃখ অপেক্ষা মন্দ। পৃথিবীতে মুখ এবং