পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম প্রস্তাব । פ9א উৎকর্ষ বা অপকর্ষ, সভ্যতা বা অসভ্যতা, উন্নতি বা অবনতি, ইহার একতররূপে প্রকটিত হইয়া থাকে। অথবা উণ্টাইয়া দেখিলে, সেই উৎকর্ষ বা অপকর্ষ, সভ্যতা বা অসভ্যতা, ইহার যদেকতর, সেই আত্মিক শক্তির কতদূর যে চালনা করা হইয়া থাকে, তাঁহারই পরিমাণ মাত্র। পুনশ্চ ইহাও মনে থাকে যেন যে, আত্মিক শক্তি পরিচালনায় সফলতালাভ কালসাপেক্ষ ; এবং কালসাপেক্ষ বলিয়াই, একই দিনে কোন ব্যক্তি বা জাতি একেবারে উন্নত ও সভ্য, অথবা একেবারে অবনত বা অসভ্য হইতে পারে না । অতঃপর বলা বাহুল্য যে, এক্ষণে যিনি উপরে বর্ণিত সমগ্র তত্ত্ব অবগত হইয়া এবং কথিত বাহাজগৎ ও মানব-প্রকৃতির সহ সম্বন্ধ অবধারণ পূৰ্ব্বক প্রত্যেক কাৰ্য্যে উভয়ের স্বাতন্ত্র্য এবং সম্বন্ধ নিরূপণ করিয়া, এতৎ জাতীয় জীবনদ্বয় সমালোচনীয় প্রবৃত্ত হইবেন ; তিনিই তদ্বিষয়ে যথেষ্ট পটুতালাভে কৃতকাৰ্য্য এবং মানব জীবনপ্রবাহের অদ্ভূত কৌশল জ্ঞাত হইয়া তাঁহাতে অপার আনন্দলাভে সমর্থ হইতে পারবেন। বলিয়াছি যে, জাতিদ্বয়ের জ্ঞানজাবনের এই শৈশবকাল। চিন্তু তরল, কোন একটি বস্তুসংঘাতে, সহসা বিপুল তরঙ্গে তরঙ্গায়িত হয়। স্বতরাং এ সময়ে ইহারা বাহ্যজগতের যে যে ভাবের সহিত সংযোগে আসিয়ছে, তাহাতেই তরঙ্গায়িত হইয়া, উদ্বেলিত অন্তর্জগৎ সংযোগে অনুরূপ মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়াছে। এই উভয় জাতি স্ব স্ব উপনিবেশিত দেশে পদার্পণ করিলে পর, বাহাজগং কাহার নিকট কিরূপ ভাবে প্রতীয়মান হইয়া প্রত্যেকের ভাবী জীবনপ্রবাহ এবং তজ্জনিত শুভাশুভের কিরূপ ভিত্তিস্থাপনে সহায়তা করিয়াছিল, তাহার প্রবোধার্থে আপাততঃ স্থলতঃ আলোচনা করিয়া দেখা যাউক ।