পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাব । 96:సా অতি প্রাচীন কালে, সামুদ্রিক বাণিজ্যপোতসকল কোন বিশেষ বন্দর হইতে ভারত পরিত্যাগ করিয়া এবং সমুদ্রের কোন কোন অংশ দিয়া যে কোথায় গিয়া উপস্থিত হইত, তাহার আর কোনই নিদর্শন পাইবার সম্ভাবনা নাই। তবে ভারত, আরবদেশস্থ বৰ্ত্তমান এডেনের নিকটবৰ্ত্তী স্থান এবং আফ্রিকার উপকুলস্থ বনারসকল, ইহাদের মধ্যে যে জাহাজ সকলের চলাচল হইত, ইহাই কেবল নিশ্চিত করিয়t বলিতে পারা যায়। খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দীতে, ঐ সকল স্থানের মধ্যে কোন কোন পথে যে জাহাজ চলাচল হইত, তাহ পেরিপ্লস গ্রন্থে এরূপ নির্দেশ করা রহিয়াছে ;–ত্ৰিবিধ পথে সামুদ্রিক বাণিজ্য সমাধা হইত। আরবের দিক হইতে নির্দেশ করিতে হইলে, প্রথমতঃ, আরব, কাৰ্ম্মান ও গিদ্রোসিয়ার উপকূল বাহিয়া বরোচের বন্দরে জাসিত ; দ্বিতীয়তঃ, আরবের দক্ষিণ উপকূলস্থ আধুনিক ফার্টাকুই নামক অন্তরীপ এবং তৃতীয়তঃ, গার্ডফিউ নামক অন্তরীপ হইতে, যাত্রা করিয়া, সমুদ্র পাড়ী দিয়া মালাবার উপকূলস্থ মুসিরী ও নীলকুও নামক বন্দরদ্বয়ে উপনীত হইত। • প্রাচীনকালেও সম্ভবতঃ এই দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংখ্যক পথে বাণিজ্যজাহাজ অধিকাংশ ভাগে ৰাতায়াত করিত এবং ভারতীয় জাহাজসকল আরবীয় উপকুলমাত্রে আবদ্ধ না হইয়া, সকোট্র প্রভৃতি দ্বীপ এবং মিসরীয় বন্দর সকলে গমনাগমন করিত। কারণ এরূপ গমনাগমন না থাকিলে, সকোট্রাতে ভারতীয় ও অপরাপর জাতির সাঙ্কর্য্যে সঙ্কর জাতির উৎপত্তি হইত না ; অথবা মিসররাজও মিওস হরমুজকে ভারতীয় বাণিজ্যের নিমিত্ত বাণিজ্যবন্দর বলিয়া নির্ণয় করিত না । প্রথমসংখ্যক পথে বোধ হয় ততটা চলাচল ছিল না ; কারণ তাহ থাকিলে, নিয়াখোসের সমুদ্রযাত্রার পথসকল যেন অনাবিষ্কৃতের স্তায় নূতন বলিয়া বোধ হইবে