পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

С., е औक ७ झ्न्छुि । তুমি বলিবে, তাহারা বেতনভোগী ; কাজেই মুনিবের হুকুম না মানিয়া, হুকুমে অত্যাচার না করিয়া বঁচিতে পারে না। এ কথায় প্রথম প্রত্যুত্তর,—বেতনভোগীত যদি কিছুমাত্র জাতীয় সহানুভূতি থাকিত, তাহা হইলে বেদনদাতাও তাহাদিগকে সেরূপ হুকুম দিতে সাহস করিত না । দ্বিতীয়তঃ, তাহারা যেন চাকর, তোমরা ত নহ ; কিন্তু তোমাদেরই বা স্বজাতি-সহানুভূতি কই ? যাহার ষে সদগুণ আছে অথবা যে যে গুণের প্রতিষ্ঠা করে, কোথাও তাহার ব্যতিক্রম দেখিলে, তথায় সে নেহাতপক্ষে বিমুখ হইয়াও চলিয়া যায়। অতএব তোমাদেরও যদি কিছুমাত্র।স্বজাতির প্রতি সহানুভূতি থাকিত, তাহ হইলে তোমরাও, স্বজাতিদ্রোহীর সঙ্গে বাক্যালাপ করা দূরে থাকুক, তাহার প্রতি ফিরিয়া কখনও তাকাইতে না ; এবং স্বজাতিদ্রোহীও, সমাজের এরূপ বিরুদ্ধ বদন দেখিলে, অবিলম্বে স্বজাতিদ্রোহিত পরিত্যাগ করিতে পথ পাইত না। জাতীয় সহানুভূতি সম্বন্ধে এই পৰ্য্যন্ত । ইহার পর আর অন্যান্য গুণের কথা তুলিয়া কাজ নাই। মোটের উপর এই পৰ্য্যন্ত বলিলেই পর্যাপ্ত হইবে যে, এই তৃতীয়মূলক নীতি যতদুর অধম সীমায় নামিতে পারে, তাহা আধুনিক ভারতীয় সমাজে নামিয়াছে। দেশের দুৰ্ব্বল ও ইতরশ্রেণীকে যতদুর পদদলিত, পেষিত, পীড়িত ও পেটের ভাতের জন্ত লালারিত হইতে হয়, তাহা হইতেছে। এখন কোথায় গিয়া যে এ অবস্থার সীমান্ত প্রাপ্তি হইবে, তাহা এক ঈশ্বরই বলিতে পারেন, অন্ত কেহ নহে । তৃতীয়ুমূলোৎপন্ন নীতির উদাহরণ উপরে বলিলাম। আর দুই মূলোৎপন্ন নীতির আদর্শস্থল প্রাচীন হিন্দু ও প্রাচীন গ্রীক। ইহার মধ্যে প্রথমোক্ত মূলোৎপন্ন নীতিপালক ছিলেন প্রাচীন হিন্দু এবং দ্বিতীয়োক্ত মূলোৎপন্ন নীতিপালক ছিল প্রাচীন গ্ৰীক। কিন্তু