পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাব । ●ፃ Œ গ্রীক এবং হিন্দু এ উভয় জাতিই, পৃথিবীর প্রথমকালে মনুষ্যবর্গের আদিশিক্ষক স্বরূপে শিক্ষা দিবার জন্ত অবতীর্ণ। উভয়ই বিশ্বনিয়ন্তার নিকট হইতে শিক্ষকতা পদ প্রাপ্ত হইয়া উদিত হইয়াছিল। সুতরাং উভয় জাতিই পূজ্য। হিন্দুরা পারলৌকিক, আধ্যাত্মিক, এবং উপপাদ্য তত্ত্বসমূহ শিক্ষা দিবার জন্য নিযুক্ত । ঐরূপ গ্রীকেরা ইহলৌকিক, আধিভৌতিক, এবং আনুষ্ঠানিক তত্ত্বসমূহ শিক্ষা দিবার নিমিত্ত ভারপ্রাপ্ত। জাতীর স্বভাব আলোচনায় সাংসারিক বোধে ধরিতে গেলে, এ পৃথিবীতে প্রাচীন হিন্দুরা জাতীতে ব্রাহ্মণ, এবং গ্রীকেরা ক্ষত্রিয়। উভয় প্রাচীন জাতিই এক্ষণে পৃথিবী হইতে ধ্বংস প্রাপ্ত হইয়াছে। তাহাঁদের বংশধরেরা আছে বটে, কিন্তু তাহারা আচারভ্রষ্ট, ধৰ্ম্মভ্রষ্ট, যুবনত্ব প্রাপ্ত হইয়া পূর্বের তুলনে যেন বহু পরিমাণে স্বতন্ত্র জাতিস্বরূপে পরিণত হইয়াছে ; সুতরাং থাকিতেও নাই। ওদিকে, আগে যাহারা শিষ্যপদবীতে ছিল, এখন তাহারা জ্যোতিষ্মান হইয়াছে ; আগে যাহারা নগণিত ছিল, এখন তাহারা মাথায় উঠিয়াছে ; আগে যাহারা মুখত অন্ধকারে আচ্ছন্ন ছিল, এখন তাহারা নিজ তেজে প্রাচীন আচাৰ্য্যবর্গের তেজ একান্ত মলিন করিয়া ফেলিয়াছে –এমন কি, লোপ পৰ্য্যস্ত করিবার উপক্রম করিয়া তুলিয়াছে। কেবল রক্ষা এই যে, অনন্ত পুস্তকে যখন সেই আর্যপ্রাচীনদের কীৰ্ত্তি ও কৰ্ম্মসমূহ জমা করা রহিয়াছে, তখন মনুষ্যনয়ন হইতে সে সকলকে আপাততঃ লোপ করিলেও, অনন্তগর্ভ হইতে তাহাদিগকে লোপ করিবার কোনই আশঙ্কা দেখা যায় না। অনাগত বংশপরম্পরার উপকারার্থে, তাহীদের সে অনন্তজীবি-চিত্ৰ চিএগুপ্তগর্ভে এখন লুকায়িত। বর্তমান একজন দক্ষ ক্ষেত্রতত্ত্ববিদ্যাবিৎ