পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় প্রস্তাৰ । ዓ ኖ গিয়াছিল। বস্ততায় আসিবার পরেও, প্রথম প্রথমটা হেলোটগণের মধ্যে এখন তখন সামান্ত রকমের বিদ্রোহ কিছু কিছু উপস্থিত না হইত, এমন নহে ; কিন্তু সে কেবল প্রভুর অত্যধিক প্রভুত্বজন্য নিরাশ মনের বিদ্রোহমাত্র এবং তাহাও অতি সহজে প্রভুর বিক্রমে উপশমিত হইয়া ফাইত। সুতরাং সমবল প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে যে বিদ্বেষ ও শক্রতা ঘটনা হয়, তাহা এখানে কখনও ঘটে নাই এবং সেজন্য, গ্রীকভূমে কথিতরূপ ব্যবহারিক কারণের কার্য্যঘটনাতেও কোন ব্যাঘাত পড়িতে পায় নাই । কিন্তু ভারতীয়দিগের অবস্থা ঠিক উহার বিপরীত। ভারতীয় আদিমগণ সংখ্যায় যেন অসংখ্য, একটা নিপাত করিলে রক্তবীজের ন্যায় শতটা উখিত হয়। নিত্য সংগ্রাম, নিত্য নররক্তে স্নান, তথাপি শত্রুরও হ্রাস নাই ; সুতরাং সুখ শাস্তি বা নিরুদ্বেগিতার সঙ্গেও দেখা নাই । শক্রও আবার সর্বদা সন্মুখশক্র নহে ; নদীতট, বিহারভূমি, বনদেশ, আনাচ-কানাচ, সৰ্ব্বত্ৰেই গুপ্ত শক্রর আশঙ্কা ; কথন কি ভাবে আক্রমণ করিবে, কখন" কি প্রাণ অপেক্ষাও প্রিয়তর ধনজন হরণ করিয়া পলাইবে, তাহার স্থিরতা নাই। বিপুল বীরত্ব সত্ত্বেশু জয়ের আশা নাই ; অসীম সাহস সত্ত্বেও আত্মদার্ট্যতার সম্ভাবনা নাই ; চিত্ত সৰ্ব্বদাই অস্থির ও আকুলিত। এতদ্বিষয়ক ব্যাকুলত তাহদের চিত্তকে এতই আকুলিত করিয়াছিল যে, তাহাদের দেবস্তুতি এবং এমন কি, দৈবকার্য্যের পর্যন্ত অধিকাংশ ভাগ, শত্রুর মঙ্গলকামনায় পৰ্য্যবসিত । অন্ত দিকে তদ্বিপরীতে সমস্ত গ্রীকপুরাণ খুজিয়া দেখ, আদিমগণের বিরুদ্ধস্বচক একটি কথাও সমস্ত গ্ৰীক দেবস্তুতি ও দৈবকাৰ্য্যের মধ্যে খুঁজিয়া কোথাও পাওয়ার সম্ভাবনা নাই ; সে পক্ষে তাহদের আত্মবলই পৰ্য্যাপ্ত ছিল। হিন্দুর আত্মবলে