পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় প্রস্তাৰ । 念空 ভারতবর্ষের প্রকৃতি মিসর হইতে বহুবিধ বিভিন্নাকারের ও বিভিন্ন স্বভাবের বটে ; কিন্তু যে বিষয়টি ধরিয়া এ স্থানে আলোচনা করা যাইতেছে, কেবল তৎসম্বন্ধে দেখিতে গেলে, মিসর যে শ্রেণীতে, ভারতকেও সেই শ্রেণীতে গণনা করিতে পারা যায় । ইহা প্রায়ই উত্তপ্ত ও সজল ; অধিকন্তু ইহা অন্তান্ত দেশাপেক্ষা অধিক পরিমাণে উর্বরতা-গুণসম্পন্ন। আহারীয় দ্রব্যের এখানে অভাব নাই ; এজন্য অতি অল্প দিনে ধনসঞ্চয়, এবং নিম্নশ্রেণীর অবস্থা পূৰ্ব্বকথিত নিয়মানুসারে আরও নিম্নতর, সুতরাং উচ্চ ও নিম্নশ্রেণীর মধ্যে ধনবৈষম্য বিপুলভাবে জন্মিয়াছিল। আর্য্যেরা আপন অভীষ্ট পরিপূরণার্থে, আপনাদের স্বদলস্থ নিম্নশ্রেণী ব্যতীত, আরও এক দল দাসবৎ লোক প্রাপ্ত হইয়াছিলেন ;–ইহারা ভারতের সেই কতকাংশ আদিম অধিবাসিগণ, যাহারা আর্য্য-অস্ত্রতেজে পদাবনতভাবে বহুতায় আসিয়া দাসপদে নিয়োজিত হইয়াছিল। অতএব নানারূপেই, আর্য্যেরা অপার শ্রম নিয়োজন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । এজন্য ইহাদের ধনবত্ত ও সভ্যতাও অতিশীঘ্র সমুদিত হয় । যাহা হউক, উহারই মধ্যে একটু সৌভাগ্য এই যে, তুল্যরূপ কারণের সম্ভবত সত্ত্বেও, এখানকার নিম্নশ্রেণী, মিসরীয় নিম্নশ্রেণীর ন্যায় নিপীড়িত হয় নাই ; এবং সে পক্ষে, পীরামিড বা গগনোদ্যান প্রভৃতির ন্যায় অদ্ভুত কীৰ্ত্তি সকলের য়ে অনস্তিত্ব, তাহ সাক্ষ্য স্বরূপে উল্লেখ করিতে পারা যায়। সেরূপ নিপীড়িত না হওয়া পক্ষে মিসর ও ভারতের মধ্যে যে প্রভেদ দৃষ্ট হইতেছে, তাহার কারণ আর কিছুই নহে,—মিসরীয় ও ভারতীয়দের মধ্যে প্রকৃতিভেদ মাত্র। মিসরীয়চিত্ত্বও পারলৌকিক বিষয়ে কিছু কম সমাহিত ছিল না ; কিন্তু তথাপি ইহলৌকিক ৰিষয়ে তাহার সমাহিত হওয়ার ভাগ যেন আরও বেশী এবং ভারতী:দের