সম্মুখে দণ্ডায়মান হইল। তাহাদিগকে দেখিয়াই দারোগা সাহেব কহিলেন, “আপনি হোসেন মিঞা নহেন?
হোসেন। আজ্ঞা, আমি হোসেন।
দারোগা। আপনি এখানে কেন?
হোসেন। মনিবদিগের সঙ্গে।
দারোগা। মনিবদিগের সঙ্গে? আপনার মনিব ত একজন ছিলেন, আপনি গোফুর খাঁর নিকট কর্ম্ম করিতেন না?
হোসেন। আজ্ঞা হাঁ, এখনও আমি তাঁহার কর্ম করিতেছি।
দারোগা। তবে মনিবগণ পাইলেন কোথায়?
হোসেন। গোফুর খাঁ ও তাহার পুত্র।
দারোগা। তাহারা কোথায়?
হোসেন। তাহারা আপনার হাজতেই আছেন।
দারোগা। তাহারা একটী মোকদ্দমায় পড়িয়াছেন, এ কথা আমি পূর্বেই শুনিয়াছিলাম। তাহাদিগের সেই মোকদমার বিচার কি শেষ হইয়া গিয়াছে?
হোসেন। আজ্ঞা হাঁ, জজসাহেবের বিচার শেষ হইয়া গিয়াছে।
দারোগা। বিচারে কি হইয়াছে?
হোসেন। তা আমাদিগের সর্বনাশ হইয়াছে। বিচারে জজসাহেব উভয়কেই চরমদণ্ডে দণ্ডিত হইবার আদেশ প্রদান করিয়াছেন।
দারোগা। কি সর্বনাশ! উভয়কেই ফাঁসির আদেশ দিয়াছেন তাঁহারাই কি এখন আমার এই থানার হাজতে আছেন?