পাতা:চন্দ্রলোকে যাত্রা - রাজেন্দ্রলাল আচার্য.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

নবম পরিচ্ছেদ

যাত্রার আয়োজন

 ন্দ্রলোক লক্ষ্য করিয়া গোলাটী নিক্ষিপ্ত হইলেই যাহাতে পৃথিবী হইতে উহার গতি দেখিতে পাওয়া যায়, প্রথম হইতেই বৈজ্ঞানিকগণ সে চেষ্টা করিতেছিলেন। চন্দ্র হইতে ৩৯ মাইল দূরে থাকিয়া আমরা উহার সকল অংশ যে ভাবে দেখিতে পারি, সে সময় যে সকল দূরবীক্ষণ যন্ত্র ছিল, তাহাদের সাহায্যে তদপেক্ষা স্পষ্টতর দেখিবার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু চন্দ্রের তুলনায় কামানের গোলাটী বিন্দুবৎ। সেই বিন্দুকে মহাব্যোমে ধাবিত দেখিতে হইলে দূরবীক্ষণকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন বুঝিয়া বৈজ্ঞানিকগণ প্রাণপণে চেষ্টা করিতেছিলেন। ইতঃপূর্ব্বে যে যন্ত্রে কোন পদার্থকে ছয় হাজার গুণ বৃহত্তর করিয়া দেখা যাইত, তাঁহারা তাহার শক্তিকে ছয়গুণ বৃদ্ধি করিবার আয়োজন করিয়াছিলেন। কেম্ব্রিজ মান-মন্দিরের অধ্যক্ষগণ যে দূরবীক্ষণ প্রস্তুত করিলেন, তাহার নলটীই দৈর্ঘ্যে ২০০ ফিট হইল। নলের অভ্যন্তরে যে দূরদর্শন কাচ বসিল, তাহার ব্যাস হইল ১৬ ফিট!

 বায়ুস্তর ভেদ করিয়া পৃথিবীতে আসিতে চন্দ্রকর অনেকাংশে আপন ঔজ্জ্বল্য হারায়। সুতরাং দূরবীক্ষণ যত ঊর্দ্ধে স্থাপিত করিতে পারা যাইবে, চন্দ্রকরকে অন্ততঃ ততটুকু স্থানের বায়ুভেঙ্গ করিতে হইবে না। কাজেই স্থির হইল যে কেম্ব্রিজের নবাবিষ্কৃত দূরবীক্ষণটী কোনো একটী

৬৪