পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগরচরিত ఏ লয়, এদিকে এসো”—বলিয়৷ স্থতিকাগৃহে লইয়া নবপ্রস্থত শিশু ঈশ্বরচন্দ্রকে নির্দেশ করিয়া দেখাইলেন। এই কৌতুকহাস্যরশ্মিপাতে রামজয়ের বলিষ্ঠ উন্নতচরিত্র আমাদের নিকট প্রভাতের গিরিশিখরেব দ্যায় রমণীয় বোধ হইতেছে। এই হান্তময় তেজোময় নিৰ্ভীক ঋজুস্বভাব পুরুষের মতো আদর্শ বাংলাদেশে অত্যন্ত বিরল ন হইলে বাঙালির মধ্যে পৌরুষের অভাব হইত না। আমরা র্তাহার চরিত্রবর্ণনা বিস্তারিতরূপে উদ্ধৃত করিলাম, তাহার কারণ, এই দরিদ্র ব্রাহ্মণ তাহার পৌত্রকে আর কোনো সম্পত্তি দান করিতে পারেন নাই, কেবল যে অক্ষয়সম্পদের উত্তরাধিকারবণ্টন একমাত্র ভগবানের হস্তে, সেই চরিত্রমাহাত্ম্য অখণ্ড ভাবে তাহার জ্যেষ্ঠপৌত্রের অংশে রাখিয়া গিয়াছিলেন । পিতা ঠাকুরদাস বন্দোপাধ্যায়ও সাধারণ লোক ছিলেন না। যখন র্তাহার বয়স ১৪৷১৫ বৎসর, এবং যখন র্তাহার মাতা দুর্গাদেবী চরকায় স্থত কাটিয়া একাকিনী তাহার দুই পুত্র এবং চারি কন্যার ভরণপোষণে প্রবৃত্ত ছিলেন, তখন ঠাকুরদাস উপার্জনের চেষ্টায় কলিকাতায় প্রস্থান করিলেন । কলিকাতায় আসিয়া প্রথমে তিনি র্তাহার আত্মীয় জগন্মোহন তর্কলঙ্কারের বাড়িতে উঠিলেন। ইংরেজি শিখিলে সওদাগর সাহেবদের হেসে কাজ জুটিতে পরিবে জানিয়া প্রত্যহ সন্ধ্যাবেলায় এক শিপসরকারের বাড়ি ইংরেজি শিখিতে যাইতেন। যখন বাড়ি ফিরিতেন, তখন তর্কালঙ্কারের বাড়িতে উপরিলোকের আহারের কাও শেষ হইয়া যাইত, মুতরাং তাহাকে রাত্রে অন্যহারে থাকিতে হইত। অবশেষে তিনি তাহার শিক্ষকের এক আত্মীয়ের বাড়ি আশ্রয় লইলেন। আশ্রয়দাতার দারিদ্র্যনিবন্ধন এক একদিন তাহাকে সমস্তদিন উপৰাসী থাকিতে