পাতা:চারিত্রপুজা ২য় সংস্করণ.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগরচরিত ২৫ অতএব, বিদ্যাসাগরের জীবনে র্তাহার মাতার জীবনচরিত কেমন করিয়া লিখিত হইয়াছে, তাহা ভালোরূপ আলোচনা না করিলে উভয়েরই জীবনী অসম্পূর্ণ থাকে। আর, আমরা যে মহাত্মার স্মৃতিপ্রতিমাপূজার জন্য এখানে সমবেত হইয়াছি, যদি তিনি কোনোরূপ স্বল্প চিন্ময় দেহে অদ্য এই সভায় আসনগ্রহণ করিয়া থাকেন, এবং যদি এই অযোগ্য ভক্তকত্ত্বক তাহার চরিতকীৰ্ত্তন তাহার শ্রুতিগোচর হয়, তবে এই রচনায় যে অংশে তাহার জীবনী অবলম্বন করিয়া তাহার মাতৃদেবীর মাহাত্ম্য মহীয়ান হইয়াছে, সেইখানেই তাহার দিব্যনেত্র হইতে প্রভূততম পুণ্যাশ্রবর্ষণ হইতে থাকিবে, তাহাতে সন্দেহমাত্র নাই । বিদ্যাসাগর তাহার বর্ণপরিচয় প্রথমভাগে গোপালনামক একটি সুবোধ ছেলের দৃষ্টান্ত দিয়াছেন, তাহাকে বাপমায়ে যাহা বলে, সে তাহাই করে। কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্র নিজে যখন সেই গোপালের বয়সী ছিলেন, তখন গোপালের অপেক্ষা কোনো কোনো অংশে রাখালের সঙ্গেই র্তাহার অধিকতর সাদৃপ্ত দেখা যাইত। পিতার কথা পালন করা দূরে থাক, পিতা যাহা বলিতেন, তিনি ঠিক তাহার উল্টা করিয়া বসিতেন। শম্ভুচন্দ্র লিখিয়াছেন—“পিতা তাহার স্বভাব বুঝিয়৷ চলিতেন । যেদিন শাদাবস্ত্র না থাকিত, সেদিন বলিতেন, আজ ভালো কাপড় পরিষা কালেজে যাইতে হইবে, তিনি হঠাৎ বলিতেন, না, আজ ময়লা কাপড় পরিয়া যাইব । যেদিন বলিতেন, আজ স্নান করিতে হইবে, শ্রবণমাত্র দাদা বলিতেন যে, আজ স্নান করিব না ; পিতা প্রহার করিয়াও স্নান করাইতে পারিতেন না। সঙ্গে করিয়া ট্যাকশালের ঘাটে নামাইয়া দিলেও দাড়াইয়া থাকিতেন । পিতা চড়চাপড় মারিয়া জোর করিয়া স্নান করাইতেন।”*

  • नtशमब्र अष्ट्रकल बिछाब्रङ्ग थगौङ बिछानां★ब्रछौवनकब्रिठ, २* श्रृंछे। ।