পাতা:চারিত্রপূজা (১৯৩০) - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগর চরিত 95ነ খাইলেন, তাহা একদৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করিয়া, ঐ স্ত্রীলোক জিজ্ঞাসা করিলেন, বা পাঠাকুর, আজ বুঝি তোমার খাওয়া হয় নাই ? তিনি বলিলেন, না মা, আজ আমি এখন পৰ্য্যন্ত কিছু খাই নাই। তখন সেই স্ত্রীলোক ঠাকুরদাসকে বলিলেন, বা পাঠাকুর, জল খাইয়ে না, একটু অপেক্ষ কর । এই বলিয়া নিকটবৰ্ত্তী গোয়ালার দোকান হইতে, সত্বর, দই কিনিয়া আনিলেন, এবং আরও মুড়কি দিয়া, ঠাকুরদাসকে পেট ভরিয়া ফলার করাইলেন ; পরে তঁাহার মুখে সবিশেষ সমস্ত অবগত হইয়া, জিদ করিয়া বলিয়া দিলেন, যেদিন তোমার এরূপ ঘটিবেক, এখানে আসিয়া ফলার করিয়া যাইবে।”* এইরূপ কষ্টে কিছু ইংরাজি শিখিয়া ঠাকুরদাস প্ৰথমে মাসিক দুইটাকা ও তাহার দুইতিনবৎসর পরে মাসিক পাচটাকা বেতন উপাৰ্জন করিতে লাগিলেন। অবশেষে জননী দুৰ্গাদেবী যখন শুনিলেন, তাহার ঠাকুরদাসের মাসিক আটটাকা মাহিয়ানা হইয়াছে, তখন তাহার আহিলাদের সীমা রহিল না এবং ঠাকুরদাসের সেই তেইশচব্বিশবৎসর বয়সে গোঘাটনিবাসী রামকান্ত তর্কবাগীশের দ্বিতীয়া কন্যা ভগবতী দেবীর সহিত র্তাহার বিবাহ দিলেন । বঙ্গদেশের সৌভাগ্যক্রমে এই ভগবতী দেবী এক অসামান্য রমণী ছিলেন। শ্ৰীযুক্ত চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের রচিত বিদ্যাসাগরগ্রন্থে লিথোগ্রাফপটে এই দেবীমূৰ্ত্তি প্ৰকাশিত হইয়াছে। অধিকাংশ প্রতিমূৰ্ত্তিই অধিকক্ষণ দেখিবার দরকার হয় না, তাহা যেন মুহুৰ্ত্তকালের মধ্যেই নিঃশেষিত হইয়া যায়। তাহা নিপুণ হইতে পারে, সুন্দর হইতে পারে, তথাপি তাহার মধ্যে চিত্তনিবেশের যথোচিত স্থান পাওয়া যায় না, চিত্রপটের উপরিতলেই দৃষ্টির প্রসার পর্য্যবসিত হইয়া যায়। কিন্তু ভগবতী দেবীর এই পবিত্র মুখশ্ৰীর গভীরতা এবং উদারতা বহুক্ষণ • वन्नष्डि विज्ञानाशाबिठ, २s भूछे। । \P)