পাতা:চারুনীতি-পাঠ.djvu/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাৰুনীতি পাঠ। নির্ভরহীনতা । কোন সময়ে এক ব্যক্তি সন্ত্রীক জনৈক দুরন্থ বৃন্ধুর গৃহে যাইয়া তথায় একটী দিবস যাপন করিবার মানস করিয়াছিল। একদিন মনোহর প্রভাত সময়ে তাহারা উভয়ে যাত্রা করিল, কিন্তু কিছু দূরে গমন করিয়াই স্ত্রীলোকটর মনে পড়িল যে তাহাদিগকে একটা জীর্ণ সেতু পার হইতে হইবে। সকলেই বলিত যে ঐ সেতু নিরাপদ নহে। এই চিন্তায় ব্যাকুল হইয়া সে তাহার স্বামীকে বলিল, “আমরা সেতুর নিকট গিয়া কি করিব ? আমার ত তাহার উপর দিয়া যাইতে সাহস হইবে না, আর নদী পার হইবারও অন্য উপায় দেখি না।” তাহার স্বামী বলিল “আহে!! ঐ সেতুটার কথা আমার মনে ছিল না। হায়! যদি উহা ভগ্ন হয়, তাহা হইলে ত আমরা পড়িয়া গিয়া জলমগ্ন হইব ।” স্ত্রী বলিল, “তা যেন ন হইল, কিন্তু যদি কোন জীর্ণ গলিত তক্তার উপর তুমি পা দেও আর তোমার পা ভাঙ্গিয়া যায়, তাহাহইলে আমার ও খুকীর দশ কি হইবে ?” তাহার স্বামী বলিল “তাহ কেমন করিয়া জানিব, তবে বোধ হয় এই হইবে যে আমি আর কাজ করিতে পারিব না এবং আমরা সকলে অনাহারে মারা যাইব ।” এইরূপে নিতান্ত চিন্তাকুল ও উৎকষ্ঠিত হইয় তাহার ক্রমাগত যাইতে যাইতে অবশেষে সেতুর নিকট আসিয়। পৌছিল। উপস্থিত হইয়া দেখে যে তাহারা গতবারে সেতু যে প্রকার দেখিয়া আসিয়াছিল তাহার কিছুই নাই, তাহার