পাতা:চাৰুশীলা নাটক.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b. চাৰুণীল नाभ्रेक | করে নারীকুলে সতীত্বের মহাগৌরব বৃদ্ধি করে গেছেন, জীবনের চিরস্মরণীয় যশোবৃক্ষ রোপণ করে গেছেন । সতীত্ব রক্ষার জন্য যদি ঐ সকল ললনার অনুগামিনী হতে হয়, তাতেও কুষ্ঠিত নহি । (সক্রোধে ) নৃশংস ! দেখ, তোর সম্মুখেই আমার প্রিয়তমের প্রতিমূৰ্ত্তি বাছির করি,(বস্ত্রমধ্য হইতে ছবি বাহির করিয়া প্রকাশ্যে) নাথ ! একবার অধিনীর প্রতি সদয় হয়ে প্রিয়ে বলে, সম্ভাষণ কর, অামার মন প্রাণ শীতল হউক, কর্ণপরিতৃপ্ত হউক, প্রাণবল্লভ ভূষিত চাতকের বারি অাশার ন্যায়, নৃত্যশীল চকোরের পূর্ণচন্দ্রাশার ন্যায় আমি তোমার মুধাপুরিত বাক্যাশ করে আছি, আশা পূর্ণ কর । (ক্ষণবিলম্বে ) কৈ নাথ ! কথা কচ্চন যে ? তবে কি দাসীর প্রতি ক্রোধাম্বিত হয়েছ ? নাথ ! অধিনী এমন কি অপরাধ করেছে, যাহা তোমার নিকট মার্জনীয় নহে । প্ৰাণেশ্বর ! শুনেছি, তোমার মধুর বচনে কি সভাসদগণ, কি পেীরগণ সকলেই বিমোহিত হয়, তবে অধীনী কি জন্য তাহাতে বঞ্চিত হচ্চে। প্ৰাণেশ ! তুমি যে প্রতিরাত্রের স্বপনে উদয় হও, আশ্বাসবাক্যে হৃদয়ের তুষ্টি সম্পাদন কর, সে কি এরূপ যন্ত্রণ দিবার জন্য,—না আমার মন পরীক্ষার জন্য ? প্রাণনাথ! এখনো কি তোমার পরীক্ষণ করতে বাকি আছে ? নাথ । এখন তো আমার মন আর আমাতে নাই, যে দিন তুমি আমার দর্শনপথের পথিক হয়েছ, যেদিন আমার হিতাহিত জ্ঞান অপহরণ করেছ, সেই দিন হতে জামার মন-পদ্ম ভক্তিসহকারে তোমার চরণতলেই অপর্ণ করেছি, একাগ্রমনা হয়ে জীবিত আছি। ভয়েশ্বর দাসীকে যতই অবজ্ঞা কর না কেন,