পাতা:চাৰুশীলা নাটক.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\}y চাৰুণীলা নাটক । বিজয় । বন্ধু! মিছে আমায় প্রবোধ দিচ্চো, আমি অতি ভুর্ভাগ, আজীবন কষ্ট ভোগের জন্যই জন্ম গ্রহণ করেছি, তার সাক্ষী দেখ, এ পর্য্যন্তও তো আমার আশাতৰ ফলৰউী হ’লে৷ না, কেবল অহৰ্নিশি হাহাকার করে দিন কাটাচ্চি । সতিশ। সে কি আমি দেখতে পাচ্চিনে ?—কি করবে। বলে ; কিন্তু ভাই, এ প্রকার কাতর হ’লে তো কিছুই হবে না, বরং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে । বিজয় । সভ্য, কিন্তু আমার মন যে দুৰ্নিবার হয়েছে, কিছুতেই প্রবোধ মানুছে না । সতিশ । (স্বগত) নদীর জল যেমন প্রচও বায়ু প্রভাবে লক্ষীত হইয়া ভদগর্ভস্থ যান সকলকে বিচলিত করে, সেইরূপ দুরাচার চিন্তা কর্তৃক বন্ধুর হৃদয়সরোবর এরূপ বিচলিত হয়েছে যে, কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্যের কিছুই বিবেচনা নাই । (প্রকাশ্বে ) প্ৰিয়বন্ধু! তুমি যা বস্তুচো, সকলিই সত্য, কিন্তু তাই বলে কি সাধ্যমতে মনকে প্রবোধ দিতে চেষ্টা পাবে না ? বিজয় । (স্বগত) হায় ! পৰ্ব্বতগর্ভ হইতে জল যখন অজঅভাবে নিঃসৃত হইয়া প্রবলবেগে অসংখ্য নদ নদী অতিক্রম করিয়া নদীরাজ সমুদ্রাভিমুখে গমন করে, কি ক’রে তার গতি রোধ হয় ? অথবা যে ব্যক্তি বিষম সংগ্রামে মত্ত হুইয়া কালরূপ তরবারী হন্তে ইতস্ততঃ বিচরণ করে, কে তার সম্মুখীন হয়, তিনি তীক্ষ অসি দ্বারায় মুহূৰ্ত্ত মধ্যেই তাহাকে শত শত খণ্ডে বিভাগ করে ফেলেন । ছায়! আমার পক্ষে সেইরূপ হ’য়েছে, আমি যতই বাধা দিতে চেষ্টা গুচ্চি, ততই চিন্তা রাক্ষসী আপনার বল প্রকাশ কচ্চে ও মুহূমুহূ যন্ত্রণা দিচ্চে ! (দীর্ঘনিশ্বাস পার