পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কি। এর থেকে বুঝতে পারবে কত বড় বৈরাগ্যের ভাব আমার মনে এসেচে। তা ছাড়া বিনয় চর্চাও একেবারে ভুলি নি— অহঙ্কার ছেড়ে দিয়ে এমন আশ্চৰ্য্য নম্রতা অবলম্বন করেচি যে, ঘরে বাইরে যে আমাকে দেখচে সেই বিস্মিত হয়ে বলচে, আহা তিনভুবনে এমনতর— যা বলচে তা বলতে গেলে বিনয় রক্ষা হয় না। অতএব চিঠির ও পিঠ সমস্তটা ফাক রেখে দিলুম— তাতেও কুলোয় কি না সন্দেহ। আশা শান্তি কেমন থাকে আমাকে লিখো, আর আমার অন্তরের আশীৰ্ব্বাদ তাদের সকলকে জানিয়ো। ইতি তারিখ জানিনে— আজ বোধ হচ্চে পঞ্চমী। ১৩২৬ [১২ আশ্বিন ১৩২৬] তোমার ভানুদাদা C مينا {৩০ সেপ্টেম্বর ১৯১৯] { শান্তিনিকেতন ] কল্যাণীয়াসু উপস্থিত। যতদিন রাজধানী কলকাতায় ছিলুম ততদিন সময়টা ছিল কাজে কৰ্ম্মে লোকের ভিড়ে একেবারে নিরেট— সেখানকার পাথরে বাঁধানো রাস্তার মত— সে রাস্তায় আপিস গাড়ি ট্রামগাড়ি চলে কিন্তু কোনো একটু ফঁাকে বনফুল ফোটে না। তোমাকে চিঠি লেখা সেই বনফুল ফোটানো,— তার জন্যে অকেজো সময়ের পোড়ো জমি দরকার। আমার কপালে সেই পোড়ো জমি চাষার দলে মিলে সবই প্রায় চষে ফেলে দিলে,— এই যে এখানে এসেচি, দেশ বিদেশের চিঠি জমেচে কত— >○br