পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমাকে আমি নিয়মিত চিঠি লিখে এসেচি। মনের ভিতর অল্প একটু আশা ছিল যে পিকিনে এসে হয়ত তোমাদের খবর পাওয়া যাবে। কালিদাস, ক্ষিতিবাবু, নন্দলাল দেশ থেকে চিঠি পায় আর আমাকে জিজ্ঞাসা করে বেনারসের কোনো চিঠি পেয়েচেন। আমি বলেচি যে, না, আমি চিঠির প্রত্যাশা করিনে। কথাটা সম্পূর্ণ সত্য নয়। কিন্তু ওদের কাছে আমার গুমর নষ্ট করতে চাই নি। বিশেষত যখন Elmhirst আমাকে জিজ্ঞাসা করত, Why no news from Benares আমি বলতুম রাণু জানে আমাকে চিঠি লিখলে আমি পাব না। একেই বলে অহঙ্কার। যাই হোক পীকিনে এসে ঠিক করলুম, অনেক চিঠি ত লিখেচি, এবার চিঠি না পেলে আর লিখব না। সুতরাং প্রতিজ্ঞা রক্ষা করবার জন্যে এত দিন লিখি নি। তা ছাড়া সময় এত কম ছিল যে চিঠি লেখা দুঃসাধ্য হয়েছিল। আজ বিশে মে তারিখ। ২৫শে বৈশাখের দিনে এখানে খুব ধুমধাম করে আমার জন্মোৎসব হয়ে গেল।” দেশে ফিরে গিয়ে সে সব গল্প হবে। হয় ত কালিদাস ক্ষিতিবাবুরা তার সমস্ত বিবরণ পাঠিয়ে দিয়েচেন, হয়ত বা কোনো-না-কোন কাগজে ছাপা হয়ে গেচে । যাই হোক এখান থেকে আর একটা জায়গায় ভ্রমণ সেরে ৩১শে তারিখে সাভাই থেকে জাহাজ ধরে জাপানে যাত্রা করব। ৪ঠা জুনে কোবে পৌছব। চীন দেশের পালা এখনকার মত শেষ হল। জাপানে নিমন্ত্রণ পেয়েচি। সেখানে হয়ত জুনের শেষ পর্যন্ত কাটবে। জাপানে না পৌছলে ঠিক বলতে পরিচিনে। সেখানেও অনেক কাজ করবার আছে। হয়ত বক্তৃতা করে বেড়াতে হবে। তার পরে Indo-China, Siam এবং জাভা। তার পরে— ভারতবর্ষ। ভৰ্ত্তি করে দিতে। আশা বলেছিল তার পরীক্ষা শেষ হলে সে শাস্তিনিকেতনে আসবে। তোমরা দুই বোনে এসে যদি থাক তা হলে খুসি হব। না হয় অশোক সুদ্ধ এসে ভৰ্ত্তি হবে। যাই হোক তুমি যদি ডিগ্রি পাবার মোহ &brbア