পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়া পত্র পাঠাইলাম শ্রীমান বীরেনকেও লিখিবার উদ্যোগ করিতেছি এমন সময় রাণুর মার চিঠি পাইয়া আমি স্তম্ভিত হইয়া গিয়াছি। রাণুকে তাহার শিশুকাল হইতে জানি এবং একান্তমনে স্নেহ করি। ইহা জানি তাহার চরিত্র কলুষিত হওয়া সম্পূর্ণ অসম্ভব। তাহার বয়সে বাঙালীর ঘরের মেয়েরা যে সাধারণ অভিজ্ঞতা সহজে লাভ করে তাহার তাহা একেবারেই ছিল না। সে এমনি শিশুর মত কাচা যে তাহার কথাবাৰ্ত্তা ও আচরণ অনেক সময় হাস্যকর হইত। এইরূপ অদ্ভুত অনভিজ্ঞতাবশত লোক ব্যবহার সম্বন্ধে তাহার কোনো ধারণা ছিল না। এই কারণে রাণুর বিবাহ সম্বন্ধে আমার মনে বিশেষ উদ্বেগ ছিল। আমি তাহার জন্য এমন সৎপাত্ৰ কামনা করিতেছিলাম যে তাহার একান্ত সরলতার যথার্থ মূল্য বুঝিবে এবং লৌকিকতার ক্রটি ক্ষমা করিবে। এমন সময়ে প্রফুল্লনাথের পুত্র পূর্ণেন্দু আমাদের জোড়াসাঁকোর বাড়িতে দৈবক্রমে রাণুকে দেখিয়া তাহাকে বিবাহের জন্য উৎসুক হইয়া উঠে। সগোত্রে বিবাহে তাহার পিতার সম্মতি হইবেন আশঙ্কা করিয়া প্রথমে বাধা দিই। তখন প্রফুল্লনাথ কলিকাতায় ছিলেন না। পূর্ণেন্দু ও তাহার একজন গুরুস্থানীয় আত্মীয় আমাকে বারবার আশ্বাস দিলেন যে আপত্তি গুরুতর হইবে না এবং বিবাহ নিশ্চয়ই ঘটিবে। পূর্ণেন্দু ছেলেটি ভাল, তাহার হাতে রাণু কষ্ট পাইবেনা নিশ্চয় ভাবিয়া আমি তাহাদের পরিচয়ে বাধা দিই নাই। কিন্তু পরিচয় বলিতে একবারমাত্র শান্তিনিকেতনে দেখা হইয়াছিল। রাণু তখন আমার কন্যা মীরা ও বউমার কাছে ছিল। পূর্ণেন্দুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে দেখা হওয়া তাহার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব ছিল। আপনি আমার কন্যা বেলাকে জানিতেন। তাহার ছোটভাই শমী* বাঁচিয়া নাই। আমি অনেকবার ভাবিয়াছি যে, সে যদি বাচিয়া থাকিত তবে রাণুর সঙ্গে নিশ্চয় তাহার বিবাহ দিতাম। তাহার কারণ রাণুর צ"לס\