পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোলন থেকে অনেক উঁচুতে। তাই ট্রেনটাকে অনেক চড়তে হয়। তার পর থেকে ট্রেনটা খালী চড়তে লাগল। সেই রাস্তাটা এ্যামোন ভীষণ। এ্যাকপাশে গভীর খড়। ঠিক ট্রেনটার নীচেই। আর আর এ্যাক পাশে উঁচ পাহাড়। ট্রেনটা আবার ঘুরে ঘুরে যাচ্ছিল এ্যামোন সোময় কি হোলো, এঞ্জিনটায় জল কোমে গ্যালো। এঞ্জিনটা তাই গাড়ীটাকে আর টানতে পাল না। আর রাস্তাটা ছিল ঢালু। গাড়ীটা তীরের মতন নেমে যেতে লাগল। আমি ভেবে ছিলাম বুঝি মজা হচ্ছে। সে রাস্তাটাও ভীষণ। আর তারপর গাড়ীটা একটা বনের মাঝখানে সমতল জায়গায় এসে গাড়ীটা থামল। সেখানে যেই গাড়ীটা থামল, অমনি যত লোক নেমে গাল। কেউ কেউ আবার সেই বনের মধ্যে সারি সারি বোসে খেতে সুরু কোরে দিল। আমাদের সঙ্গে অনেক জিনিষ ছিল আর কোনো কুলি পাওয়া গ্যালোনা। তাই না বরোগে যেতে পারলাম না সোলনে ফিরে আসা যায়। সেখানে রাত্তির দশটা পর্যন্ত বোসে থাকতে হোলো। তারপরে একটা এঞ্জিন সিমলের থেকে এলো। এসে আমাদের ট্রেনটার পেছুনে লাগল। তারপর ধীরে ২ বরোগ পৌঁছুল। তারপর বাবু সেই ট্রেনটায় কোরে মিরেট গেলেন। বরোগে একজন বাঙালী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমাদের ভাব আছে। সে ফলের দোকান করে। সে এখানেই থাকে। অনেক দিন থেকে। সে এখানে এ্যাকজন পাহাড়ীকে বিয়ে কোরেছে। আমরা তার কাছ থেকে একটা লণ্ঠন চেয়ে নিলুম। তার স্ত্রী আমাদের খানিকটা দূর পর্যন্ত আলো দ্যাখাবে বোল্লে। তার স্ত্রী বেশ ভাল। বল্লে যে তুমি আমার বাড়ী চলনা। তোমাদের আমি রুট সেঁকে খেতে দেব। বাবজা বোল্লেন যে আজ বাড়ী ফিরে যাই আর একদিন আসবো। তারপর আমরা অন্ধকারে যেতে লাগলাম। রাস্তাটা আবার খুব উঁচু। শুধু চড়তে হয়। বনের মধ্যে দিয়ে। তারপরে কার্টরোডে উঠলাম। সে রাস্তাটা ভালো কিন্তু চারিদিকটা এ্যামোন ভীষণ। কালো কালো পাহাড় এ্যাকদিকে আর কালো খড় এ্যাক্দিকে। পাহাড়ের Qのbr