পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ ২৬ জুন ১৯৩৮ কালিম্পঙ থেকে রবীন্দ্রনাথ সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি বিবৃতি পাঠান : ‘বন্ধুবৰ্গ ও জনসাধারণের সহিত পত্রব্যবহার ও তাহাদের অন্যান্য অনুরোধ রক্ষা আমার জীর্ণ শরীর মনের পক্ষে দুর্বহ হওয়াতে এই সমস্ত দায়িত্বভার হইতে আমাকে নিস্কৃতি দিবার জন্য সকলের নিকট আমি সানুনয় অনুরোধ জানাইতেছি। আমার বিশ্রামের একান্ত প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া আশা করি তাহারা আমাকে ক্ষমা করিবেন। ২৮ জুন আনন্দবাজার পত্রিকা’ ও ‘যুগান্তর’-এ তার হস্তক্ষেরের প্রতিলিপি প্রকাশিত হয় । ২ পুজোর ছুটিতে শান্তিনিকেতনেই অবস্থান করেন। °N Rෆළු | পত্রটি রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত প্রতিলিপি থেকে মুদ্রিত। পত্র ২০ 8 { পত্রটি রবীন্দ্রভবনে রক্ষিত প্রতিলিপি থেকে মুদ্রিত। ১ ইঙ্গবঙ্গ যে ধনী সমাজে রাণুর বিবাহ হয়েছিল, সেখানে পার্টিতে গিয়ে নানাধরনের বিদেশি হুল্লোড় খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। রবীন্দ্রনাথও তা জানতেন। বাঁশরি’ (১৯৩৩) নাটকে তার একটি ছবিও তিনি একেছেন। তবু পার্টিতে রাণুর আচরণ সম্পর্কে লোকমুখে কিছু বিরূপ কথা শুনে তিনি উত্তেজিত হয়ে চিঠিটি লেখেন। পত্র ২০৫ । ১ ২০৩-সংখ্যক চিঠির প্রত্যুত্তরে রবীন্দ্রনাথ সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। ২ রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতিতে শ্রী রঙ্গমঞ্চে ৭ ফেব্রুয়ারি শ্যামা' ও ৯ ফেব্রুয়ারি চণ্ডালিকা' নৃত্যনাট্যগুলি অভিনীত হয়। এরই কোনো একটি অনুষ্ঠানে রাণু অভিনয়ের মধ্যপথে উঠে যান বলে রবীন্দ্রনাথ ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভেবে তিনি একটি চিঠি লেখেন। সম্ভবত এই ঘটনা স্মরণ করেই রাণু ‘ভানুসিংহ ঠাকুর :কিছু তথা’-শীর্ষক স্মৃতিকথায় লিখেছেন : তীর কোনো পরিচিত লোক যদি কাজের তাড়ায় অভিনয়ের মাঝখানে উঠে যেতেন দর্শকের আসন ছেড়ে, নিদারুশ ভৎসনা জুটত তার ভাগেও। বিয়ের পর স্বামীর কাজের তাড়ায় উঠতে গিয়ে এ-ভৎসনা ভোগ করতে হয়েছে \9Oడి >bア ●●