পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু এই সময় কবি এত বেশিরকম বিচলিত ছিলেন যে চিঠিটির একটি নকল সজনীকান্তকে পাঠিয়েছিলেন। (দ্র, রবীন্দ্রনাথের পত্র ৮) সজনীকান্ত তার ‘আত্মস্মৃতিতে পরবর্তীকালে লিখেছেন যে “রবীন্দ্রনাথ আমাদিগকে ক্ষমা না করিলে ইহা প্রকাশ করা সম্ভব ছিল না।’ (‘আত্মস্মৃতি’, পৃ. ২৯৪) এই সময় শনিবারের চিঠি’র মুমূর্ষ দশা। ১৩৩৬-এর কার্তিক সংখ্যা শনিবারের চিঠি’ প্রকাশিত হয় ফালুন মাসে। ওই সংখ্যায় সজনীকান্ত সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়কে লেখা রবীন্দ্রনাথের চিঠির উত্তরে একটি সুদীর্ঘ কবিতা লিখেছেন। কবিতাটির নাম "ভ্রান্তি’। এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক জগদীশ ভট্টাচার্যলিখেছিলেন—“শ্রীচরণেষু” “হেঁয়ালি” ও “ভ্রান্তি”– ১৩৩৬-এর আষাঢ়, শ্রাবণ ও কার্তিকে প্রকাশিত এই তিনটি কবিতা সজনীকান্তের মনের নিগৃঢ় জটিলতাকেই শুধু প্রকাশ করছে না, কবিগুরু সম্পর্কে তার অন্তদ্বন্দ্বের স্বরূপটিকেও উদঘাটিত করেছে।” (“রবীন্দ্রনাথ ও সজনীকান্ত’, পৃ. ১০২) ১৩০৬ বঙ্গাব্দের কার্তিক সংখ্যার পরে “শনিবারের চিঠি’র প্রকাশ কিছুদিনের জন্য বন্ধ হয়। “শনিবারের চিঠি’ পুনঃপ্রকাশিত হয় ১৩৩৮ বঙ্গাবেদ । ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের শ্রাবণে, সুধীন্দ্রনাথ দত্তের সম্পাদনায় “পরিচয়’ পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের ৫ জ্যৈষ্ঠ রবীন্দ্রনাথের পারস্য-যাত্রার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ক্লান্ত শরীর ও ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী রখীন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথকে দর্জিলিঙে নিয়ে যান। সেখানে কবি মাসখানেক ছিলেন। এবং জুলাই মাসের গোড়াতেই শান্তিনিকেতনে ফিরে এসেছিলেন। S S A