পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্র-২ ১ ১৩৩৩-৩৪ বঙ্গাব্দে বাংলা সাহিত্যে তথাকথিত নবীন ও তরুণ সাহিত্যগোষ্ঠীর সমাবেশ ঘটেছিল। যাঁদের সাহিত্যে আধুনিকতার প্রকাশ পেয়েছিল পাশ্চাত্য সাহিত্যের ভাবধারাকে অবলম্বন করে। “শনিবারের চিঠি’ তৎকালীন সেই সব আধুনিক সাহিত্য ও তার স্রষ্টার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ করে, এবং তাদের একান্ত বলভরসা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের কাছেও এই বিষয়ে তাদের আর্জি জানিয়েছিল। এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রজীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখেছেন —“ “শনিবারের চিঠি’ নামে এক সাপ্তাহিক প্রবাসী-পত্রিকার অন্যতম হইত। এই পত্রিকার লেখকগোষ্ঠী ও সম্পাদক কল্লোলাদি পত্রিকার রচনার মধ্যে অশ্লীলতাদুষ্ট অংশ চয়ন করিয়া ‘মণিমুক্তা’ নামে প্রকাশ করিতেন ; সাহিত্যে বে-আব্রুতা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ইহা তাহারা করিতেন সত্য, কিন্তু তাহার ফল হইত বিপরীত— বাংলা কথাসাহিত্যের সকল অশ্লীলাংশ পাঠকরা একস্থানে পাইয়া তাহা সাগ্রহে সম্ভোগ করিত।” সজনীকান্ত ১৩৩৩ সালে ফালুন মাসে (১৯২৭ মার্চ)— কবির যুরোপ সফরের দুই মাসের মধ্যে সাময়িক সাহিত্যের বর্ণনা দিয়া একখানি দীর্ঘ পত্র লিখিয়া পাঠান। কবি তাহার উত্তরে লেখেন (২৫ ফাল্গুন ১৩৩৩) এই পত্রটি। এই প্রসঙ্গে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় আরো লিখেছেন– “এই সময়ে কবির মন ‘ঋতুরঙ্গশালার মধ্যে ডুবিয়া আছে; তাই বোধ হয় বিতর্কমূলক রচনায় মন গেল না।... মালয় যাত্রার পূর্বে অনুরোধেই হউক বা কর্তব্যবোধেই হউক কবি ‘সাহিত্যধর্ম নামে প্রবন্ধ লিখিলেন।’ (দ্র, রবীন্দ্রজীবনী ৩ : ‘সাহিত্যে দ্বন্দ্ব’, পৃ. ৩০৬-০৭) ২ ‘বিচিত্রা ১৩৩৪, শ্রাবণ, ১ম বর্ষ—১ম খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যায় (পৃ. ১৭১-৭৫) রবীন্দ্রনাথের ‘সাহিত্য-ধৰ্ম্ম’ শীর্ষক প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ সাহিত্য ও আর্টের মূলতত্ত্ব অর্থাৎ সাহিত্যদৃষ্টির স্বরূপ > 8 २