পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(বিখ্যাত ডারুয়িনবংশীয় ) দীর্ঘকাল থেকে বরাবর তার সঙ্গে আমার Gardener বহন করে বেড়ান। আমার রচনা আমার মত প্রভৃতি সম্বন্ধে এদিককার এত লোকের জানা আছে হঠাৎ তার পরিচয় পেয়ে মাঝে মাঝে চমকে উঠতে হয়। পৃথিবীতে সব চেয়ে যেখানে আমার যথার্থ পরিচয় ও আমার রচনার আলোচনা কম সে হচ্চে শান্তিনিকেতন । কিন্তু এই শান্তিনিকেতনের কোনো লোক যখন যুরোপে যাবে তখন তাদেরি কাছ থেকে অাদর পাবে যারা তাদের চেয়ে যথার্থভাবে আমাকে শ্রদ্ধা করে এবং ভালো করে জানে।. . . সাবরমতী আশ্রমে মহাত্মাজির কার্য্য সম্বন্ধে এ পরিমাণ অজ্ঞতা বা উপেক্ষার সুদূর সম্ভাবনা মাত্র নেই। আমি কোনো অনিচ্ছুক মনের উপর কখনো আমার মত চাপাতে চেষ্টা করি নি— কিন্তু সাহিত্যিকভাবে আমার লেখার যেটুকু মূল্য আছে অন্তত সেটুকুও শান্তিনিকেতনের ছাত্রদের জানা উচিত। তোমরা দেশ থেকে বেরিয়ে এলে বুঝতে পারতে সমস্ত পৃথিবীর সঙ্গে কত বিস্তীর্ণভাবে আমার যোগ আছে— সেই যোগের একটা সার্থকতা আছে– পৃথিবীর ইতিহাসে সে একটা কাজ করচে, সেটা স্থানীয় পলিটিকসের চেয়ে অনেক বেশি গভীর ও মূল্যবান– এই কথাটা কেবল আমার কাছের লোকদের পক্ষে বোঝাই সব চেয়ে অসম্ভব হয়েচে । এই মানসিক বাধাটুকু বরাবর থেকে গেছে বলেই আমি শান্তিনিকেতনে বেশি কিছু দিতে পারলুম না— সেইজন্যেই ওখানকার কাজে ঔদাসীন্য ঘুচল না। অথচ ওখানে যা $ 8