পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব’লে বোধ হচ্চে। যাদের সাধারণত আমরা এডুকেটেড ব’লে থাকি লেখক নিঃসন্দেহ সেই জাতীয়। কিন্তু একটা পরিব্যাপক প্রমত্ততায় বিভ্রম জন্মিয়েছে। আর কিছুকাল পূর্বে এ রকম অদ্ভূত ঘটনা হয় নি, হোতে পারত না। পাঠ্যনিৰ্ব্বাচনসমিতিতে পিতৃদেবের আত্মজীবনী বিচারকালে মুসলমান পক্ষের বিচারক মহৰ্ষির দিদিমার মৃত্যুকালীন ঠাকুরদেবতার নামোচ্চারণের বিবরণমাত্রকেই আপত্তিজনক বলে মত দিয়েছিলেন। এই সমস্ত অদ্ভূত আপত্তি কেবলমাত্র বাংলাসাহিত্য সম্বন্ধেই খাটছে । এই আদর্শে বিচার করলে ইংরেজি সাহিত্যে এর সমতুল্য এবং এর চেয়ে আরো অনেক বেশি এই জাতীয় আপত্তির কারণ ছড়াছড়ি পাওয়া যাবে সেটা প্রমাণ করতে অত্যন্ত বেশি গবেষণার দরকার করে না । কিন্তু সেটা লক্ষ্য করলেও তাতে কোনো চাঞ্চল্য ঘটবার আশঙ্কা নেই। ওঁরা বাংলা বিদ্যালয়ে পাঠ্য ইংরেজি সাহিত্যকে বিশেষভাবে মুসলমান সমাজের রোচক ক’রে পরিবর্তিত করার প্রস্তাব এখনো পৰ্য্যন্ত করেন নি। একেই বলে কমু্যনালিজম, এই কমু্যনালিজমের উপরেই বাংলাদেশে রাষ্ট্ৰতন্ত্রের ভিৎপত্তন হোলো । এই সাম্প্রদায়িক ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কয়েকদিন হোলো, কলকাতা টাউনহলে একটি সভা ডাকা হয়। আমাকে সভাপতিত্ব নেবার জন্তে আহবান করা হয়েছিল। এই পদ আমাকে গ্রহণ করতে হয়েছে । এ কথা শুনে তুমি হয়তো বিস্মিত হবে। তুমি জানে। >しア"