পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌচেছে সুরে, কেউবা বলে পৌছবে। এত দিন যে ধুয়ো বেঁধে গান সাধা চলছিল তার অভ্যাস বদলে যাচ্চে । ধুয়ো সুরকে বিশ্বাস নেই। বিশ্বাস রক্ষণ করাটাই অবজ্ঞার বিষয় হয়েছে । পৃথিবীর জমিট। স্থির আছে বলেই তার উপরে আমরা নানাপ্রকার ঘর বাড়ি বানিয়ে এসেছি। যে কারণেই হোক সেই পৃথিবীটা ভূমিকম্পের পৃথিবী হয়ে উঠেছে— মনোলোকের অবচেতন স্তরে যে আগুন চাপা ছিল সে হয়েছে চঞ্চল— আগেকার নিয়মে পাকা ইমারত বানানো চলবে না। মিস্ত্রিমহলে এই রকমের একটা রব উঠেছে। এখন যে জিনিষটা বানানো হবে সেটা হবে টলমলে বাকাচোরা সুষমাহারা, পাকে পাথরে সব কিছু মিশিয়ে যাবে তার মধ্যে। সাজানো কিছুর উপরে শ্রদ্ধা নেই– কেননা মনের ভূগর্ভে সব স্তর ভেঙে চুরে উলটে পালটে গেছে। অন্তত মানবলোকের কোনো এক জায়গায় কোনো একদল ভূতত্ত্ববিদ এই রকম হিসেব করেছেন। এই নাড়া-খাওয়া অব্যবস্থা এখনো তো অনুভব করচিনে— আমাদের পাড়ায় করবার কোনো সাংঘাতিক কারণ ঘটে নি। কিন্তু এ মুল্লুকে যারা কাপন-লাগা পায়ের ছাদে পায়তারা সুরু করেছেন— তাদের দেখে মনে ভাবনা লাগে— ভালো বুঝতে পারিনে। না বুঝতে পারার কারণ এই যে, অস্থির ইতিহাসের এলেকায় যে চালটার উদ্ভব হয়েছে নকল অস্থিরতার সঙ্গে তার অনেক তফাৎ । তার কাছে এ নিতান্ত খেলা বলে ঠেকে। সেখানে ধ্রুবর প্রতি বিদ্রোহের ভিতর দিয়ে একটা বাণীর প্রয়াস আছে— S > || > 6. ૨૨ (t