পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমিয় এই দ্বিতীয় সংস্করণটাকে কি বাহুল্যদোষে পেয়ে বসেছে হয়তো এ সব জিনিস একটু কম বোঝানোই ভালো— কারণ এর ধর্মই হচ্ছে স্পষ্ট না বোঝানো । রবীন্দ্র У У о ১৭ মার্চ ১৯৩৯ \8 শান্তিনিকেতন কল্যাণীয়েযু ছোটোখাটো অনাহূত কাজগুলো আলোতে বাদলা রাতের পতঙ্গের মতো ঝাকে ঝাকে এসে পড়ে, তারা কোনোটাই বেশি ক্ষণ থাকবার মতো নয়— কিন্তু আলোর যথার্থ উদ্দেশ্যটাকে আচ্ছন্ন ক’রে দেয়। তুচ্ছ যত দাবি আমার অবকাশের উপর চার দিক থেকে ঝাপ দিয়ে পড়ে, আমার ভাবনা যায় এলোমেলো হয়ে । নিজের সময়ের প্রয়োজনীয়তার দোহাই দিয়ে কারো সামান্য দরবার ঠেকিয়ে রাখা এদেশে দুঃসাধ্য। কেননা আমাদের সমাজটা অত্যন্ত সস্তাদামী সময়ের বারোয়ারী সমাজ, সবার সময় সকলেরই । পরের অবকাশের তহবিল-ভাঙা দাবির জন্তে কোনো বিশেষ যোগ্যতার অধিকারভেদ নেই – একই জাজিম পাতা, অনিমন্ত্রণে সকলেই যেখানে খুশি বসবার গুমর করে। অনায়াসে বলতে পারে, আমি সামান্ত লোক বলেই কি ૨8 (t