পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনের দিক থেকে যে তা নয়, বাইরের দিক থেকে। অর্থাৎ অবকাশের দেবতা এই অকেজো সকালে যে-সুরেই তার বীণার তার বাধুন আমার এ চিঠি সুরালো হবে না, কেননা আধুনিকতার যুগলক্ষ্মীর সভায় মাধুরী-মদের পেয়ালায় টানাটানি । সাকীই বা কোথায় ? তাহলে লাগা যাক সাবধানে যথাসাধ্য দুলকি চালে “থটু”এর চালনায়। কী বলব থটু-কে ? চিন্তা ? অশ্রদ্ধেয় । মনন ? নৈব নৈব । বৌদ্ধ বিষয় ? রাস্তা বন্ধ । সংস্কৃত ভাষায় একটা শ্লোকে বলেছে, চিতা এবং চিন্তার মধ্যে চিন্তাটাই বেশি করে জালিয়ে মারে। এই অলক্ষুণে শব্দটা বাংলা ভাষায় বিনা চিন্তায় অস্থানে প্রবেশ করেছে। “মনন” শব্দটা ব্যবহার করতে বাধে, কেন না মনন মনের একটা ক্রিয়া, অর্থাৎ thinking— (aš footă »tfätto atta'ss thought বলে, সে-রকম শব্দ হচ্ছে “মত”, কিন্তু ওটা চলেছে থিওরি এবং ওপিনিয়নের প্রতিশব্দ রূপে। মননের বিষয় বা মননের যোগ্য হিসাবে আপাতত মন্তব্য কথাটা চালানো যেতে পারে । কিন্তু thoughtful শব্দের জায়গায় মন্তব্যবান বলা চলবে না। কেননা যাদের মননের শক্তি বা অভ্যাস আছে তারাই thoughtful । সে হিসাবে সে স্থলে মননশীল বা মননশক্তিমান বলাই সংগত হবে। চৈঠিক সাহিত্যের সুবিধে এই যে ভাষান্তর সাধনার সুগম্ভীর দায়িত্ব সে না নিলেও নিতে পারে, এ ভার রইল র্তাদেরই পরে এ কাজটাকে র্যার বলেন “বাধ্যতামূলক” । ૨ 8 ૧