পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

סוסי צ ২২ অগস্ট ১৯৪০ \} অমিয় আননদবাজার পত্রিকা থেকে বিশ্বভারতী মারফৎ আমার ঘাড়ে একটা গল্প লেখার ফরমাস চাপিয়েছে। সেই ঘাড়ের উপর যে মাথাটা টলটল করচেসেটা প্রায় গজভুক্ত কপিখবৎ— লিখতে হয় কষ্টে মন্থর গতিতে। অন্যান্য সকল কাজকে সে মুড়িয়ে খেতে খেতে চলেছে। আধুনিক কাব্যপরিচয় পেয়েছি পড়ে কিঞ্চিৎ বিস্মিত হয়েছি। দেখলুম তার অনেক কবিতাই আমাদের কালের হাট থেকে এসেছে। তার আকৃতি চেনা তার প্রকৃতিও। তাহলে বলতে হবে আধুনিক কবিতা বহু প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসচে। কবির প্রেয়সী বুড়ি হয়ে মরে যায় না। আজও এসে বাতায়নে আঘাত করে চম্পক অঙ্গুলির। এই যে চির আধুনিক এর স্বরূপ কী, চির সনাতনীর সঙ্গে মূলগত প্রভেদ কী সে কথাটা বুঝিয়ে বলবার ভার তোমারই পরে। তুমি হচ্ছ আমার লিপিকার সেই প্রভাত ও সন্ধ্যার মতো— তোমার একদিকে সূর্য উঠচে যুখী বনে আর একদিকে সন্ধ্যা আসন বিছাচ্চে নক্ষত্র সভায়। তোমার নিজের মধ্যে তুমি একত্রে অধিকার করেছ প্রাচ্য প্রতীচ্যের উদয়াস্ত লোককে । আমি আজ মুখ ফিরিয়ে চলেছি একদিকে, তাকে কী নাম দেবে জানি নে । \}\}o