পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র \:): পূর্ণ হয়ে গেছে– জানলার বাইরে তাকিয়ে দেখলে মন উতলা হয়ে মায় । আমার এই লণ্ডন ছেড়ে তার কোথাও বেরিয়ে পড়তে প্রতিদিনই ইচ্ছা করচে । কিন্তু বাধা পড়ে আছি আমার দইট ছাপতে গেছে—১৪ই অক্টোবরের মধ্যে বের হবার কথা । বের হলেও নিস্কৃতি নেই– কারণ, এরা বলচেন, এ বইটা প্রকাশ হলেই এখানকার প্রকাশকের আমার অন্ত লেখাগুলে সাপাবার জন্য নিশ্চয় অগ্রহ প্রকাশ করে আসবে— সেই শুভদিনের জন্যে আমাকে অপেক্ষা করতেই হবে । অর্থাৎ অন্তত নবেম্বরটা এখানকার কুয়াশা ভোগ করতে হবে । নপেন্সরটাই লণ্ডনে সকলের চেয়ে দুদিন । চিত্রাঙ্গদ মালিনী এবং ডাকঘর তর্জমা করেছি সেইগুলো ছাপাবার জন্যে আমার বন্ধু রোটেনষ্টাইন খুব উৎসাহ করটেন । তা ছাড়া “শিশু” থেকে এবং অন্যান্য বই থেকেও অনেকগুলো তর্জমা করেছি । সব শুদ্ধ নিতান্ত কম জমেনি। এবার এদেশে বিস্তর চেনা বাঙালী 'আমদানী হয়েছে । কাল বিমলার ওখানে গিয়েছিলুম। তার মেয়ে মায়ার বড় অসুখ করেছিল— তাই তাকে খবর পেয়েই তাড়াতাড়ি ছুটে আসতে য়ছে । মায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় অনেকট ভাল হয়ে উঠেছে— তার সম্বন্ধে খুবই আশঙ্কার কারণ হয়েছিল। বিমলাকে আমার বড় ভাল লাগে । কোনো রকম উগ্রতা নেই । খোকাকে হামি দিস। ইতি ১০ই আশ্বিন ১৩১৯] ।

  • বাবা

う s