পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র * 8 X দেশকেই আমার হৃদয়ের মধ্যে এক দেশ করে তুলে তবে আমি ছুটি পাব। আমার নামের সঙ্গে আমার কাজের যোগ আছে । পূর্বদিগন্তে আমার প্রথম জীবনযাত্রা আরম্ভ হয়েছে পশ্চিম গন্তেই আমার জীবনযাত্রার অবসান হবে । নইলে জীবনের অৰ্দ্ধেকের বেশি সময় বাংলা গদ্য কাব্য লিখে আসছি— হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই ইংরেজিতে গীতাঞ্জলি লিখতে যাব কেন ? খামক একদিন আমার ঘরবাড়ি ইস্কুল ফেলে বিলেতে দৌড়তে যাবার জন্যে কেন এত বড় একটা তাগিদ এল । এর থেকেই বুপচি আমার জীবনের পথ আমার ইচ্ছা এবং হিসাব অনুসারে তৈরি হবে না— আমাকে যিনি কাজে লাগাবার জন্যে এতদিন ধরে নানা স্তখে দুঃখে গড়ে তুলেচেন তিনিই আমাকে নিজে চালনা করে কাজে খাটাবেন । আমার দেশের কাজ নয়— তার জগতের কাজ । কাজেই কোণের মধ্যে বসে থাকা অামার কপালে লেখা নেই । স্থরুলের বাড়িটা তোদের দেবার জন্যে রথীকে টেলিগ্রাফ করে দিয়েচি । ঐখানে তোদের জিনিসপত্র গুছিয়ে ঘরকন্ন ফেদে বসবি, আমি গিয়ে দেখবো । পুকুরের মাছ, ক্ষেতের ফসল, বাগানের ফল, ঘরের গরুর দুধ দিয়ে তোদের গৃহস্থ ঘরের দৈনিক প্রয়োজন বেশ আরামে চলে যাবে। আমার জন্যে তেতালার ঘরটা রেখে দিস, যখন দেশে ফিরে যাব ঐখানে তোদের সঙ্গে জমিয়ে বসে খোকা আর খুকিকে নিয়ে আমার দিন কাটবে। বেশ বুঝতে পারচি আমার এই শেষ বয়সে তোর