পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S RB ১০ অক্টোবর ১৯৩৫ પર્ક স্ত্রীতিনমস্কার সম্ভাষণ আমার মনে হয় চিরকুমারসভার ইংরেজি করা অসম্ভব । তার ব্যঙ্গ, তার শ্লেষ, তার সামাজিক ভূমিকা অত্যন্ত বেশি বাঙালি । বাংলা দেশে শালী ভগ্নীপতির সম্বন্ধ অনন্যসাধারণ, এমন কি, ভারতের অন্যত্রও নেই। অন্ত প্রদেশের পাঠক এই ব্যাপারকে আপত্তিজনক বলে মনে করতে পারে । তা হোক, সুরেন যদি তর্জমা করে তুলতে পারে আমি তাতে কোনো আপত্তি করবনা। আমি তাকে চিঠিও লিখে দিচ্চি । আমার বিশ্বাস “শেষের কবিতা” যদিও দুরূহ তবু সেটার তজ্জম। একেবারে অসম্ভব না হতে পারে— ইংরেজি জানা পাঠকের কাছে এর রস অধিগম্য হতেও পারে— কিন্তু চিরকুমার সভার গোড়াকার কথাটাতেই ওরা হু চট খাবে। হয় তো এ সম্বন্ধে একটু ভূমিকা করে দিলে জিনিষটা কৌতুকাবহ হতেও পারে – আমাদের দেশের একজন সাহিত্য অধ্যাপক প্রমাণ করে দিয়েছেন যে আমার লেখায় যথার্থ হাস্যরস নেই, দৃষ্টান্তস্থলে চিরকুমার সভারও উল্লেখ করেছেন । তার মতে গীতিকাব্য লেখকদের কলম হাসতে ও হাসাতে পারেনা— অতএব সাবধান হবেন । ইতি ১০ অক্টোবর ১৯৩৫ আপনাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Xbre