পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম এই– সমস্ত মুসলমান জাতের উপর হিন্দুর ঘূণা জন্মে যাচ্চে । অথচ এ কথা নিশ্চিত সত্য তাদের মধ্যে অনেকে অাছে যারা ভালো লোক,ঠিকমত পরিচয় পেলে যাদের সঙ্গে আত্মীয়তা করতে কোথাও বাধত না । ইংরেজের সম্বন্ধেও সেই একই কথা । এই সমস্ত দুৰ্য্যোগে যে তীব্র বিদ্বেষবুদ্ধি ব্যাপক হয়ে আমাদের মনকে অধিকার করে সেটাত আমাদের গভীরভাবে ক্ষতি হয় । মুসলমানেরা যদি সম্পূর্ণভাবে পর হোতে তাহলে এ ক্ষতি আমাদের পক্ষে তেমন সৰ্ব্বনেশে হোতে না--- কিন্তু দেশের দিক দিয়ে তারা আমাদের আপন এ কথাট। কোনো উৎপাতেই অস্বীকৃত হতে পারে না । তাই এটা তো বাইরের শেল নয়, এটা যে মৰ্ম্মস্থানের ভিতরকার বিস্ফোটক— এর মার কে সামলাবে ? যারা আমাদের অাপন লোকদের এরকম সাংঘাতিকভাবে পর করে দিচ্চে তারা করচে স্বার্থের জন্য । ভারতবর্ষ তাদের অন্নের থালি, এটাতে টান পড়লে তাদের শ্রেয়োবুদ্ধি কলুষিত যদি হয় তবে সেটা পরমার্থের দিকে ন৷ হোক অর্থের দিক থেকে বোঝা যায় । কিন্তু আপনার লোকদের কৃত অন্ধ অন্যায় তাদের নিজেরই স্বার্থের বিরুদ্ধ । তারা চিরদিনের জন্যে দেশের চিত্তে যে অবিশ্বাস যে ঘৃণা আবিল করে তুলচে তাতে চিরদিনের মতোই তাদের নিজের ক্ষতি । ইংরেজ যখন সমস্ত চীনদেশের কণ্ঠের মধ্যে তলোয়ারের ডগা দিয়ে আফিমের গোলা ঠেসে দিলে তখন এ পাপ থেকে অন্তত বৈষয়িক পুরস্কার পেয়েচে । কিন্তু মনে করে দক্ষিণ চীন যদি উত্তর চীনের মুখে বিষ ঢালতে থাকে তাহলে তাতে চীনের অঙ্গে যে মৃত্যুর সঞ্চার হবে তাতে سياسيb