পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*७ ९ [ শান্তিনিকেতন ] ২৪ নভেম্বর ১৯৩১ কল্যাণীয়াসু *. তুমি কি আমাকে বৈরাগী মনে করে বসে আছে ? নান৷ রাগে নানা রসে অামার মন বিচিত্র। কিন্তু তা সম্ভবপর হোতে৷ ন। যদি না আমি বঁাধনছাড়া হতুম। আকাশে মেঘে মেঘে, ঋতুতে ঋতুতে ফুলে পল্লবে রঙের রসের অন্তহীন খেলা— এই খেলা ভেঙে যেত যদি বাধনের জালে আটকা পড়ত। বিশ্বব্যাপারকে আমরা লীলা বলে জানি— সেই লীলার মানেই এই যে তার মধ্যে সবই আছে কিন্তু কিছুই বাধা নেই। রসের ঝরনা পূর্ণ থাকচে কেননা সে কোথাও বদ্ধ থাকচে না। কুমারসম্ভবে শুনি দৈত্যরা স্বৰ্গকে অধিকার করেছে। তার মানে, যে-আনন্দ ছিল মুক্ত তাকে তারা বন্দী করতে চেয়েছিল। তখন সেটা হয়ে গেল ভোগ— ভোগে ক্লাস্তি, ভোগে স্নানতা, ভোগ নিজেকে নিঃশেষ করে দেউলে হয়ে যায়। সেই জন্যেই মন বলে লোভ কো:ে না । লোভে আমরা আপনাকেই বন্দী করি কিন্তু যা পাই তাকে শেষ পর্য্যন্ত বাধতে পারি নে। তুমি নিশ্চয় জানো আজ জগৎ জুড়ে একটা আর্থিক দুৰ্গতি ঘনিয়ে উঠচে । বিষয়ী লোকের ব্যাকুল হয়ে তার কারণ খুঁজচে । তার কারণ এই যে মানুষ দীর্ঘকাল ধরে আপন আপন সম্পদকে কড়াক্কড় করে অাটে-ঘাটে বাধতে চেয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্মী চঞ্চলা— অর্থাৎ ধন কোনো একজায়গায় একান্ত বাধা থাকবে এটা বিশ্বনিয়মের w9e