পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার কাব্যতরণী চালাবার জন্য অামারি মনের উনপঞ্চাশ বায়ুর উপর আমাকে নির্ভর করতে হয়, তার কোনো দমকা এসে আমার রচনাকে প্রচলিত ধারার বাইরে নতুন বঁাকে যদি নিয়ে যায় তো জানি তোমরা পাড়িতে দাড়িয়ে হয়তো কর্ণধারকে গাল পাড়বে। কিন্তু এরকম গাল অনেক খেয়েছি, ভালো লাগে নি, কিন্তু বাক বদল করি নি—- আজও অন্য পন্থা আমার সামনে নেই তাতে বকশিষ পাই আর না পাই । আমাকে তোমরা তোমাদের পছন্দসই হতে বলেচ, আর বলেচ তাতে বকশিষ মিলবে । চেষ্টা হয়তো করতেও পারতুম যদি নিশ্চিত জানতুম তোমাদের পছন্দটাই ট্যাকসই, তাতে আমাকে কোনোদিন ঠক্‌তে হবে না । কি করে এত নিঃসংশয় হব বলে । অতএব নগদ বিদায়ের প্রত্যাশা ছেড়ে দিলুম। এমনি করেই সত্তর বছর যদি কেটে গেল তাহলে বাকি ক’টা দিনও কাটবে। আমি যা দিতে পারি তাই দেশকে দেব, তার পরে রাগ করে যদি ভাঙা কুলোয় আমার নামটা তোমরা বিদায় করো মৃত্যুর পরে সে আমাকে বাজবে না । ■ 壘 曹 嘛 * 尊 যদি আমাকে চিঠি লিখতে চান নিৰ্ভয়ে লিখতে বোলো অামি কখনো তাকে অসম্মান করব না | র্যাদের সঙ্গে আমার মতের মিল বা মনের মিল নেই তাদের সঙ্গে সেই অবশ্যম্ভাবী স্বাভাবিক কারণবশত আমার ব্যবহারকে কলুষিত করতে আমি অক্ষম। অনেক সময় দেখতে পাই আমার সঙ্গে সৌহার্দ্যের অভাব অহৈতুক, আমার অবাধ দাক্ষিণ্যসত্ত্বেও তা দূর হয় না। যেহেতু আমি অতিমানব নই সেই জন্যে সেটা > ア 8