পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাছে ও স্থিল আশ্রিত, সেখানে ও হোলো কত্রী— আপন সংসার আপন জীবন দিয়ে সেখানে সৃষ্টি করতে হবে— এই স্বষ্টিকাৰ্য্যে মেয়েদের যেমন সুখ এবং কল্যাণ এমন আর কিছুতেই নয়--- তোমার বিয়োগকুঃখদ্বারা কল্পনায় তাকে ক্ষুণ্ণ কোরে দেখো না । তার সংসারে তোমাদের মনের মতো স্বচছলতা না থাকতে পারে— তাতে কী আসে যায়। বাসস্তীর স্বামী নিজের পৌরুষের জোরেই নিজের উন্নতি সাধন করবে। তোমরা প্রশ্রয়দ্বারা ওকে যদি তুৰ্ব্বল ও নির্ভরপরায়ণ করে তাহলে পরিণামে ওর ক্ষতিই হবে । অামাদের দেশে শ্বশুরনির্ভরী পুরুষের তুর্গতি অনেক দেখেছি । কিছু পরিমাণে সাংসারিক অভাব মারাত্মক নয়, তাতে করে উদ্যমকে চেতিয়ে তোলে । তাছাড়া সাধারণ গৃহস্থালির আদর্শে অভ্যস্ত হওয়া তোমার মেয়ের পক্ষে ভালো শিক্ষা । যারা ভালো গিন্নি হয় তারা অতিস্বচ্ছলতার মধ্যে মানুষ নয় । বস্তুত স্নেহের আতিশয্যে তোমরা যা নিয়ে আহাউহু করো সেটা তোমাদের নিজেরই মানসিক আরামের জন্তো— সেটা মেয়ের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয় । অবস্থার অনতিধনশালিতা অসম্মানের নয়, অসম্মান বাইরের সাহায্যের প্রতি নির্ভর । তোমার মেয়েকে প্রথম থেকে এই অপমানে দীক্ষিত কোরো না, তার নিজের চেষ্টাকে অবকাশ দিয়ে । ইতি ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ দাদা eS 4