পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—এটাকে আমি কোনো মতেই ঠিকভাবে অধিকার করতে পারচিনে— আমি মনে মনে তোমাদের ভক্তির প্রণাম গ্রহণ করিনে— বার বার কুষ্ঠিত হই– আপত্তি করেও কোনো ফল পাইনে । এটা কারো পক্ষেই ঠিক ভাল হচ্চে বলে মনে হয় না। এতে এক দিকে যেমন অন্যায় প্রত্যাশা জন্মে তেমনি অন্য দিকে সেই প্রত্যাশাকে মেটাবার জন্যে একটা অধিকার বহিৰ্ভত ব্যর্থ চেষ্টার উৎপত্তি হতে পারে । সে রকম চেষ্টা অন্যের পক্ষে যেমনি হোক আমার পক্ষে ভাল নয় । কারণ, আমার প্রকৃতিতে চেষ্টা জিনিষটা সত্য পাবার উপায় নয়, বরঞ্চ ব্যাঘাত । কেবল একজন লোককে মনে পড়ে যে আমার কাছ থেকে প্রত্যক্ষ ভাবে গ্রহণ করতে পারত। সে হচ্চে সতীশ । তার কারণ, তারও গ্রহণ করবার ইন্দ্রিয় আমার সঙ্গে এক । যিনি ওস্তাদ তিনি সকল তারকেই বাজিয়ে তুলতে পারেন— কিন্তু যে শুদ্ধমাত্র তার, সে নিজে বেজে উঠে কেবলমাত্র এমন তারকেই বাজাতে পারে, যে তার সঙ্গে সমান সুরে বাধা । সতীশের সঙ্গে আমার যে সম্বন্ধ এ সেই তারের সঙ্গে তারের সম্বন্ধ, কবির সঙ্গে কবির সম্বন্ধ– সাধকের সঙ্গে সাধকের নয় । আমি অনেক দিন থেকেই ঈশ্বরের কাছে বারবার প্রার্থনা করে আসূচি তিনি যেন আবুহোসেনের মত আমাকে এমন সিংহাসনে না বসান যেখানে আমার অধিকার নেই। সকলের নীচে দাড়িয়ে তার মন্দিরের সোপান ঝাড় দিতে যদি পারি তাহলেই বেঁচে যাই— কিন্তু দশ জনে পড়ে যদি একটা কাজ সেরে নেবার জন্যে মন্দিরের বেদীর উপরে অযোগ্যকে চড়িয়ে দেয়— তাহলে নীচে দাড়িয়ে ঝাড় দিয়ে ষে সেবা করা, সে কাজটা জীবনে আর হয়ে ওঠে না— অথচ তারই মধ্যে গভীর একটি রস আছে– কারণ সে রসের মুল্য মাচুষে দেয় ఏlరి8 ●ミ >