পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহারি অঞ্চলপ্রাস্ত লুটাইছে নীলাম্বর ঘিরে, তারি বিশ্ববিজয়িনী পরিপূর্ণ প্রেমমূৰ্ত্তিখানি বিকাশে পরমক্ষণে প্রিয়জনমুখে । শুধু জানি সে বিশ্বপ্রিয়ার প্রেমে ক্ষুদ্রতারে দিয়ে বলিদান বর্জিতে হইবে দূরে জীবনের সর্ব অসম্মান, সম্মুখে দাড়াতে হবে উন্নত মস্তক উচ্চে তুলি যে মস্তকে ভয় লেখে নাই লেখা, দাসত্বের ধূলি আঁাকে নাই কলঙ্কতিলক । তাহারে অস্তরে রাখি’ [ জীবনকণ্টকপথে যেতে হবে নীরবে একাকী সুখে দুঃখে ধৈর্য্য ধরি, বিরলে মুছিয়া অশ্রু-আঁখি, ] প্রতিদিবসের কৰ্ম্মে প্রতিদিন নিরলস থাকি’ সুখী করি সৰ্ব্বজনে । খুব সম্ভব এ কবিতা তুমি পূর্বেই পড়েচ তবু আমার ঠাকুরের ধ্যান তোমার কাছে রাখলুম সমস্ত পৃথিবীর ইতিহাসের মাঝখানে, সকল বীরের সকল তপস্যায়, সকল প্রেমিকের সকল ত্যাগে । এসব লেখা রবীন্দ্রনাথের নয়, তার গভীরতম মৰ্ম্মস্থানে যে কবি আছে তারই, সে কবির আসন সকল দেশেই, সকল মানুষেরই অস্তরে— ( য়ুরোপেও ) । যাই হোক তুমি যেখানে আশ্রয় পেয়েছ সেইখানেই উদার ভাবে মুক্তভাবে বিরাজ করে, সেইখানেই তোমার চিত্তের বাতায়ন খুলে যাক যেখান থেকে তুমি সৰ্ব্বকালের সৰ্ব্বজনের মনের মানুষকে অপেন বলে দেখতে পাও, যিনি যুরোপেরও, যিনি অস্পৃশ্য নমশুদ্রেরও, যিনি পণ্ডিত পুরোহিতের বেড়া দেওয়া ৬১