পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাঠরি খুলে গুছিয়ে গাছিয়ে বসতে পারে নি। অতএব সংক্ষেপে সারতে হবে। কেবল তোমার তুই একটা কথার উত্তর দিয়ে ছুটি নেব । জিজ্ঞাসা করেচ তোমাকে যে চিঠি লিখেচি তার কোনো কোনো অংশ কোনো পত্রিকায় ছাপতে হবে কি না । পত্রিকায় আমার চিঠি প্রায় ছাপা হয়ে থাকে। র্যাদের আমি লিখেচি সেটা র্তাদের ইচ্ছায় ঘটে। বোধ করি সম্পাদকেরা সংবাদ পেলে ংগ্রহের চেষ্টা করে । চিঠির উপরে লেখকের স্বত্ব থাকে না । সাধারণ পাঠকেরও দাবী নেই। সৰ্ব্বজনের পাঠযোগ্য যদি কিছু থাকে তবে কোনো এক সময়ে সেটা সৰ্ব্বজনের ভোজে গিয়ে পৌছয়— কিন্তু তার পরিবেষণকৰ্ত্তা আমি নই। র্যার ধ্যান আমার চিত্তের অবলম্বন শাস্ত্রমতে র্তাকে কি সংজ্ঞা দেওয়া যায় জিজ্ঞাসা করেচ । সহজে বোঝাতে পারব না, উপলব্ধির জিনিষকে ব্যাখ্যার দ্বারা স্পষ্ট করা যায় না। তোমার প্রশ্ন এই তিনি কি সৰ্ব্বমানবের সমষ্টি । সমষ্টি কথাটায় ভুল বোঝার আশঙ্কা আছে। এক বস্তা আলুকে আলুর সমষ্টি যদি বল তবে সে হল অার এক কথা । মানুষের সজীব দেহ লক্ষকোটি জীবকোষের সমষ্টি, কিন্তু সমগ্র মানুষ জ্ঞানে প্রেমে কৰ্ম্মে আত্মানুভূতিতে জীবকোষসমষ্টির চেয়ে অসীমগুণে বড়। ব্যক্তিগত মানব মহামানব থেকে বিচ্ছিন্ন নয়, তারি মধ্যেই তার জন্ম ও বিলয় কিন্তু তাই বলে সে তার সমান হতে পারে না। ব্যক্তিগত মানব মহামানবকে উপলব্ধি করে আনন্দিত হয়, মহিমালাভ করে যখন সে নিজের ভোগ নিজের স্বার্থকে বিস্মৃত ۹ ون)