পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>bやう চিঠিপত্র র্তারা এর প্রশংসাই করেছেন— এ রকম একটা লেখার «थद्वग्नांख्न श्लि । মহেন্দ্র এলে আমি মনে করচি তাকে প্রধানত আমারই খাষ কাজে লাগাব । আমি অধিকাংশ সময়েই আমার ঘর থেকে দূরে থাকি— তাই আমার অশন বসন আরাম বিরাম সকল বিষয়েই আমার ভৃত্য উমাচরণের উপরেই আমার নির্ভর । একরকম চলে যাচ্চে। তবু এক এক সময়ে সেবার অভাব অনুভব করি । যত বয়স বেড়ে যাচ্ছে ততই একল। হয়ে পড়চি অথচ সহায়তার প্রয়োজন বাড়চে, তাই কিছুকাল থেকে এমন একটি অনুচর খুজচি যে কতক পরিমাণে আমার ভার নিতে পারবে— নিজের চিন্তা ভাববার ঝঞ্জাট থেকে যে আমাকে বাচাতে পারবে । মহেন্দ্র যদি তদুপযুক্ত লোক হয় তাহলে আমার একটা মস্ত অভাব দূর হবে । মহেন্দ্রাণীকে সুরুলে রাখার কোনো অসুবিধাই হবেন । হিন্দুয়ানির সম্বন্ধে তার বাছবিচার কি রকম ? জান ত আমরা কি রকম ম্লেচ্ছ— অবশু), তোমরাও কম নও– কিন্তু কলকাতায় তোমাদের মত লোকের ঘরের এক প্রাস্তে ভগবান মনুর অমুশাসন মেমে চলবার বন্দোবস্ত করা তেমন কঠিন নয়। এ সম্বন্ধে বিবির পরামর্শ কি আমাকে জানিয়ো । বেলজিয়ামের কীৰ্ত্তি মনে খুব লেগেছে— সেদিন ছেলেদের এই নিয়ে কিছু বলেও ছিলুম— হয় ত দেখবে কবিতাও একটা বেরিয়ে যেতে পারে। এবার কি তোমাদের আশ্বিন কাৰ্ত্তিকের যমজ সংখ্যা বের করবার ব্যবস্থা হয়েছে ?