পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দেখি তাঁর দুই চক্ষু জলে ভেসে যায়। আমরা জিগেস করলে কিছু বলেন না। আজও পর্য্যন্ত আমরা বোলতার মনের ভাব তো কিছু বুঝতে পারলুম না।... কিন্তু আমার বড় কষ্ট হয়। কাকীমা আমি রবি কাকার কাছে অনেক গান শিখেছি।... বাস্তবিক বলছি তুমি খুব লক্ষ্মী মেয়ে। আমি রবিকাকাকে প্রায় বলি কাকিমা খুব লক্ষ্মী মেয়ে। রবিকাকা শুনে খুব খুসী হন।

 রবিকাকা কি স্বপ্ন দেখেছিলেন বলছি শোন। বল্লে তোমার বোধহয় কারোর উপর হিংসে হবে। ওসব কথা গোপন করে রাখা কিছু না। কি বল ভাই বলে ফেলাই ভালো। কর্তা দাদামশায় বিয়ে দেবেন। রবিকাকা কিছুতেই বিয়ে করবেন না। কর্তাদাদামশায় ছাড়বেন না। কথাবার্তা সব ঠিক হয়ে গেল। যেমনি বিয়ে হবে অমনি রবিকাকার ঘুম ভেঙ্গে গেল। যাক্ তুমি বেঁচে গেলে। তোমাকে আর সতীনের ঘর করতে হল না । ... মাঝে মাঝে দুই একটা সতীন হলে তোমার বোধহয় ক্ষতি হবে না। মেয়েটি দেখতে শুনে [শুনতে] কিন্তু বেশ ছিল। তবু ভাই রবিকাকা তোমাকে ছেড়ে কিছুতেই থাকতে পারেন না। দেখতো তোমাকে কত ভালবাসেন।

 তুমি রবিকাকাকে রোজ চিঠি লিখবে বলে লিখলে কৈ? রবিকাকা এ দুদিন তোমার চিঠি পান নি। আজ আবার কত দুঃখু করছিলেন। তুমি ভাই লিখেছিলে বলু কাঁদলে তাকে সান্ত্বনা দিস। আমি কত বুঝিয়ে বলি কিছুতেই বোঝেন না। আর কোনো খবর নেই। ইতি

স্নেহের অভি

৯৬