পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জগদীশচন্দ্র বস্তু ভারতের কোন বৃদ্ধ ঋষির তরুণ মূৰ্ত্তি তুমি হে আধ্য আচাৰ্য্য জগদীশ ? কি অদৃপ্ত তপোভূমি বিরচিলে এ পাষাণ নগরীর শুষ্ক ধূলিভলে ? কোথা পেলে সেই শান্তি এ উন্মত্ত জনকোলাহলে যার তলে মগ্ন হয়ে মুহূৰ্ত্তে বিশ্বের কেন্দ্রমাঝে দাড়াইলে এক তুমি— এক যেথা একাকী বিরাজে সূৰ্য্যচন্দ্র-পুষ্পপত্র-পশুপক্ষি-ধূলায় প্রস্তরে,— এক তন্দ্রাহীন প্রাণ নিত্য যেথা নিজ অঙ্ক’পরে দুলাইছে চরাচর নি:শব্দ সঙ্গীতে ! মোরা যবে মত্ত ছিন্তু অতীতের অতিদূর নিষ্ফল গৌরবে, পরবস্ত্রে, পরবাক্যে, পরভঙ্গিমার ব্যঙ্গরূপে কল্লোল করিতেছিন্থ স্ফীতকণ্ঠে ক্ষুদ্র অন্ধকূপে— তুমি ছিলে কোন দূরে ? আপনার স্তন্ধ ধ্যানাসন কোথায় পাতিয়াছিলে ? সংষত গম্ভীর করি’ মন ছিলে রত তপস্তায় অরূপরশ্মির অন্বেষণে লোক-লোকাস্তের অন্তরালে,— যেথা পূৰ্ব্ব ঋষিগণে বহুত্বের সিংহদ্বার উদঘাটিয়া একের সাক্ষাতে দাড়াতেন বাক্যহীন স্তম্ভিত বিস্থিত জোড়হাতে । হে তপস্বী, ডাক তুমি সামমন্ত্রে জলদগর্জনে “উত্তিষ্ঠত ! নিবোধত।” ডাক শাস্ত্র-অভিমানী জনে পাণ্ডিত্যের পগুতর্ক হতে স্ববুহুং বিশ্বতলে ডাক মূঢ় দাস্তিকেরে! ডাক দাওঁ তব শিন্যদলে— );