পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনের স্বম্পই লক্ষণ, মৃত পদার্থে ইহার সম্পূর্ণ অভাব দৃষ্ট হয়। এখন জড়পদার্থের প্রতি দৃষ্টিপাত করা যাক। অধ্যাপক বন্ধ দেখাইয়াছেন, একটি তারের এক প্রাস্তে যদি মোচড় বা ঘা দেওয়া যায়, তবে সেই আহত বা উত্তেজিত প্রাস্ত হইতে প্রকৃতিস্থ প্রাস্ত পর্যস্ত একটি বিদ্যুৎপ্রবাহ উৎপন্ন হয় । তড়িৎমাপক-সুচির বিচলন দ্বারা এই সাড়ের পরিমাণ ধরা পড়ে। ষন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করিয়া অধ্যাপক বহু দেখাইয়াছেন, জড়পদার্থের এই আঘাতজনিত সাড় ও প্রকৃতিলাভের তরক্ষরেখার সহিত স্বায়ুমাংসপেশীর তরঙ্গরেখার অত্যস্ত সাদৃগু আছে। ধাতুপদার্থে ঘন ঘন তাড়না করিলে যে তরঙ্গরেখা পাওয়া যায়, তাহা দস্তুর— সেই তাড়না আরো দ্রুত করিলে তরঙ্গরেখা নিরস্তর স্ফীত হইয়া ধতুষ্টঙ্কারের অবস্থা প্রকাশ করে । শীতাতপের মাত্রা অধিক হইলে ধাতুপদার্থে আড়ষ্টতা জন্মে এবং বিশেষ উত্তাপে তাহার সাড়শক্তি সৰ্ব্বাপেক্ষা বিকাশ পায় – ধাতুতারের মধ্যে বিশেষ দ্রব্য প্রয়োগ করিলে তাহার সাড়ের প্রবলতা মদমত্ততার মত আশ্চর্ষ বাড়িয়া উঠে, আবার দ্রব্যবিশেষে অবসাদের লক্ষণ আনয়ন করে, আবার কোন কোন দ্রব্যে বিষের মত কাজ করে। কোন কোন দ্রব্য ধাতুপদার্থের পক্ষে বিশেষ মাত্রায় উত্তেজক এবং মাত্রাস্তরে অবসাদক ; আবার ইহাও দেখা গিয়াছে, সময়মত ঔষধ দিতে পারিলে বিষপ্রয়োগের প্রতিকার করা थोम्न | এইরূপ নানা আঘাত-অপঘাতে ধাতুত্রব্যে যে ক্রিয় উৎপন্ন হয়, তাহার তরঙ্গচিত্র জৈবতরঙ্গের এতই সদৃশ যে, দেহবিদগণ উভয় চিত্রকে পৃথক্ করিয়া নির্দেশ করিতে পারেন না । এই গেল আঘাতজনিত সাড়। আলোকজনিত সাড় সম্বন্ধেও অধ্যাপক মহাশয় পরীক্ষা করিয়া সমফল পাইয়াছেন। তিনি একটি Y S >