পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2 в ১৬ এপ্রিল ১৯২৭ কল্যাণীয়াসু তোমার চিঠিখানি পেয়ে সুখী হলুম, সেই সঙ্গে মনে উদ্বেগ বোধ করচি । তোমার শরীর নিশ্চয় ক্লান্ত, তাই প্রাণশক্তির মানতায় তোমার মনের মধ্যে অবসাদ আসচে। এই স্নানতায় মাকড়ষার জালের মতো আমাদের জড়িয়ে ফেলে— বিশ্বের সঙ্গে আমাদের অনেকখানি বিচ্ছিন্ন করে দেয়— সবটা আলো আমাদের দৃষ্টিতে পৌছয় না, সবটা হাওয়া আমাদের প্রাণের মধ্যে নিঃশ্বসিত হতে পারে না । ক্ষীণ জীবনের জীর্ণ শিকড়গুলো অস্তিত্বের সব রস পূরোপুরি শুষে নিতে জোর পায় না । তোমার সঙ্কল্পের আবেগের সঙ্গে তোনার প্রাণশক্তিদৈন্তের অসামঞ্জস্য ঘটেচে সেই জন্যে এত বেশি কষ্ট পাচ্চ । তোমার অন্তরে বাহিরে ভালো রকম মিল হতে পারচেনা । নূ্যনাধিক পরিমাণে এই অসামঞ্জস্য সকলেরই জীবনে আছে। এই অসামঞ্জস্যের আঘাতের প্রয়োজনও গুরুতর । মাটি উচু নীচু, এবং ভিন্ন স্থানে তাপমাত্রার ভিন্নতা বশতই পৃথিবীতে জলের ধারা চলে, বাতাস বয় । আমাদের প্রকৃতির মধ্যে অসাম্য আছে বলেই আমাদের চিত্তপ্রবাহ আঘাতে অভিঘাতে সৰ্ব্বদা জাগরিত । অথচ এই অসাম্য অতিশয় অতিরিক্ত হলে তাতে আমাদের শক্তিকে নিরস্ত করে, উদ্দীপিত করেনা। এ > ૨૨