পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এসো— তার কাছ থেকে এখন সাড়া পাবে। যে গুরু নিজেকে ভোলান না বলেই অন্তকে ভোলান না সে রকম গুরু নিতান্তই দুর্লভ, অথচ যদি তাদের দর্শন মেলে তাদের মত সুলভ কেউ না । যার দরকার আছে তাকে না দিয়ে তারা থাকতেই পারেন না, নইলে তারা অকৃতাৰ্থ হন,— ভরা মেঘ মরুভূমিতেও জলবর্ষণ না করে থাকতে পারে না । সেইরকম গুরুই কতবার পৃথিবীতে এসেচেন, আর তাদের যা দেবার তা দিয়ে চলে গেছেন— না দিয়ে যাবার জো ছিল না । ভেবে দেখ, ভারতে এমন দিন ছিল যখন লিপি ছিলনা, গ্রন্থ আকারে ভাবপ্রকাশ করবার উপায় ছিল না— তবু যারা পেয়েছিলেন তারা না দিয়ে যেতে পারেননি । আমি ত তাদেরই এক একটি বাণীর মধ্যে গুরুর স্পর্শ পাই । আর কিছুনা, সেই বাণী শান্ত হয়ে শুনতে হয়— নিজের আত্মার বাণীর সঙ্গে তার সুর মিল করে তবে তাকে পাওয়া যায় । মন যখন শান্ত তখন একটিমাত্র শব্দই যথেষ্ট, “সত্যং”— বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সেই ধ্বনিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে,– শান্তং শিবম্ অদ্বৈতং— কোথাও কিছু আর ফাক থাকেনা— কেননা কোলাহলমুক্ত হলে এই ধ্বনি আপনার মধ্যেই শোনা যায়। আনন্দরূপমমৃতং —অনন্ত দেশকাল আনন্দের অমৃতে নিবিড়, নিজের নিভৃত আত্মার মধ্যেই তার চরম সাক্ষ্য । সে সাক্ষ্য না পেলে বাইরের কথার কোনো মূল্য নেই। আমরা যখন গুরুকে মানি তখন গুরুকেই মানি সত্যকে না,– সত্যকে তখনি যথার্থ মানি যখন Σ Β η