পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ها ه ه د: ss oft 2f હૈં “শাস্তিনিকেতন” বোলপুর কল্যাণীয়াসু কিছুকাল হইতে আমার শরীর অসুস্থ হইবার অনেক কারণ ঘটিয়াছে— আশা করিতেছি আবার শীঘ্র বললাভ করিয়া কৰ্ম্মক্ষম হইয়া উঠিব । ** আমার কোন কোন রচনা তোমাকে শান্তি ও সাস্তুনা দিয়াছে শুনিয়া আমি বড় আনন্দিত হইয়াছি । নরনারীর চিত্তে ভগবানের অমৃতধারা প্রবাহিত করাইয়া দেওয়া— কোন লেখকের পক্ষে ইহা অপেক্ষ সৌভাগ্য আর কিছুই হইতে পারে না । যে সংসারে তুমি প্রবেশ করিয়াছ সেই সংসারকে তুমি ধৈৰ্য্যে ক্ষমায়, মঙ্গলে ও মাধুর্য্যে অভিষিক্ত কর । এই কথা সৰ্ব্বদাই মনে রাখিয়ো, ভগবান আমাদের সেবার অপেক্ষা রাখেন না— মানুষের সেবার মধ্যেই তাহার সেবা। তিনিই স্বামিরূপে আমাদের প্রীতি, পুত্ররূপে আমাদের স্নেহ, দীনরপে আমাদের দয়া গ্রহণ করেন। যাহার সেবা করিবে মঙ্গল করিবে পূজারূপে তাহ ঈশ্বরের চরণেই পৌছিবে। শোকদুঃখকে র্তাহার হস্তের দান বলিয়া নতশিরে ধারণ করিলে জীবনের সমস্ত বেদনাও সার্থক হইয়া উঠিবে। সংসারকেই ঈশ্বরের পবিত্র পাদপীঠ জানিয়া সেই সংসারমন্দিরেই তাহার শ্রীচরণ আশ্রয় করিবে— এবং প্রসন্নচিত্তে